ক্যাসেনো সম্রাটের অসুস্থতা নিয়ে দুদকের সন্দেহ

সম্রাট

যুবলীগের বহিস্কৃত নেতা ইসমাইল হোসেন সম্রাটের জামিনে মুক্তির মধ্য দিয়ে আরো অনেকের মধ্যেই এখন জামিনের আশা জাগছে। যদিও এর আগে আরো তিনজন জামিন পেয়েছেন। সম্রাটকে কয়েকটি শর্তে শারীরিক দিক বিবেচনা করে চারটি মামলায়ই জামিন দেয়ার পর বুধবার তিনি মুক্তি পান। তিনি এখনো বিএসএমইউতে চিকিৎসাধীন আছেন।

বৃহস্পতিবার (১২ মে) বিএসএমইউ কর্তৃপক্ষ এই পর্যায়ের একজন যুবলীগের বহিস্কৃত নেতার স্বাস্থ্য সম্পর্কে নজিরবিহীন সংবাদ সম্মেলন করেছেন। তবে দুদক তার এই অসুস্থতা নিয়ে সন্দেহ করছে। তারা জামিন বাতিলের জন্য আবেদন করবে আদালতে।

জামিনে মুক্তি পাওয়া যুবলীগ নেতা ইসমাইল হোসেন সম্রাটের বিরুদ্ধে তদন্তে ১৯৮ কোটি টাকা পাচারের তথ্যপ্রমাণ পাওয়া গেছে। তিনি সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়ায় এই অর্থ পাচার করেছেন। তাকে ক্লাব পাড়ায় অবৈধ ক্যাসিনো ব্যবসা ও টেন্ডারবাজির নিয়ন্ত্রক হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। ক্যাসিনো কেলেঙ্কারি ও টেন্ডারবাজিতে যারা আটক হয়েছেন তারা কোনো না কোনোভাবে সম্রাটের সাথে যুক্ত। তদন্তে দেখা গেছে সম্রাট ২০১১ সাল থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে সিঙ্গাপুরেই গিয়েছেন ৩৫ বার।

তিনি কারাগারে আটক ৩১ মসের মধ্যে অধিকাংশ সময়ই হাসপাতালে থাকার সুযোগ পেয়েছেন। আর আদালত তাকে দেশের বাইরে না যাওয়ার শর্তে ওই স্বাস্থ্যের দিক বিবেচনা করেই জামিন দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার নজিরবিহীনভাবে তার পক্ষে সংবাদ সম্মেলন করেন বিএসএমইউর পরিচালকসহ চিকিৎসকরা। সেখানে বলা হয়, সম্রাটকে দেখতে সুস্থ ও ফিট মনে হলেও তিনি প্রকৃতপক্ষে প্রচণ্ড অসুস্থ। এদিকে তার জামিনে মুক্তিতে তার অনুসারীরা আবার সক্রিয় হয়ে উঠেছেন। মতিঝিল ক্লাব পাড়ায় ফিরে আসতে শুরু করেছেন তারা। এমনকি তারা হাসপাতালেও ভিড় করছেন।

দুদকের আইনজীবী অ্যাডভোকেট খুরশিদ আলম বলেন, সম্রাটকে যে মেডিকেল গ্রাউন্ডে আদালত জামিন দিয়েছেন তা নিয়ে আমাদের সন্দেহ আছে। আমরা এই জামিন বাতিলের জন্য উচ্চ আদালতে যাব। চিকিৎসার জন্য তার জামিনের কোনো প্রয়োজন ছিলনা। তিনি অসুস্থ হয়ে থাকলে জামিন কেন? বিএসএমএমইউতেই চিকিৎসা হতে পারত। তিনি তো সেখানেই ছিলেন। চিকিৎসার নামে এই জামিন গ্রহণযোগ্য নয়। তিনি আরেক প্রশ্নের জবাবে বলেন, আমাদের কাছে যে মামলা আছে তার বেশিরভাগেরই চার্জশিট হয়েছে, বাকিগুলোর তদন্ত শেষ পর্যায়ে আছে।এসএইচ

LEAVE A REPLY