সুন্দরবনের বাঘ, কুমির, হাঙড়ের ভয়কে উপেক্ষায় করে নদীতে এক ঘণ্টা সাঁতরিয়ে ভারতে পৌঁছান এক বাংলাদেশি তরুণী।
কেবল প্রেমের টানেই জীবনের এতো বড় ঝুঁকি নিলেন তিনি। দুঃসাহসিক সেই যাত্রায় সফল হয়ে ভারতীয় প্রেমিকের সঙ্গে সংসার পাতলেও তার সুখে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে ভারতীয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
বেআইনিভাবে বাংলাদেশ থেকে ভারতে আসার অভিযোগে সোমবার রাতে ওই তরুণীকে গ্রেফতার করেছে পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার নরেন্দ্রপুর থানা পুলিশ।
ভারতীয় গণমাধ্যমের খবর, ওই বাংলাদেশি তরুণীর নাম কৃষ্ণা মণ্ডল। তিনি সাতক্ষীরা জেলার বাসিন্দা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নরেন্দ্রপুরের রানিয়া এলাকার যুবক অভিক মণ্ডলের সঙ্গে বন্ধুত্ব হয় কৃষ্ণার। মেসেজ আদান-প্রদানের মাধ্যমে সেই বন্ধুত্ব রূপ নেয় প্রণয়ে। আর সেই প্রণয়ের পরিণতি টানতেই সপ্তাহান্তে মাতলা নদী সাঁতরিয়ে সুন্দরবনের কৈখালি এলাকায় গিয়ে ওঠেন। সেখানের ঘন জঙ্গল পেরিয়ে ভারতের রায়না এলাকায় হাজির হন কৃষ্ণা।
সেখানে কালীঘাট মন্দিরে গিয়ে বিয়ে করেন অভিককে। কিন্তু বেশিদিন সংসার করা হয়নি তার। ঘটনা জানাজানি হলেই পুলিশ এসে কৃষ্ণার নাগরিকত্ব, ভিসা, পাসপোর্ট দেখতে চায়। সেগুলোর কিছুই দেখাতে না পারায় কৃষ্ণাকে ধরে নিয়ে যায় থানায়।
মঙ্গলবারই এ বাংলাদেশি তরুণীকে বারুইপুর আদালতে তোলা হবে।
অভিকের প্রেমে সাড়া দিয়ে কৃষ্ণার বাংলাদেশ থেকে ঝুঁকি নিয়ে ভারতে যাওয়া ও তার গ্রেফতারের ঘটনা রায়না এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
অভিকের পরিবারও কৃষ্ণাকে বরণ করে নিয়েছেন। যে কোনো উপায়ে আইনি জটিলতা কাটিয়ে নববধূকে ঘরে ফিরে পেতে চান তারা। রোমান্টিক সিনেমার মতো এই কাহিনির পরিণতি এবার কী হবে তা আদালতের রায়ের ওপর ঝুলছে।
তথ্যসূত্র: এই সময়