খুলনা ও বরিশালে আজ বৃষ্টির সম্ভাবনা কম বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। খুলনা শহরে থাকতে পারে মৃদু তাপপ্রবাহ। তবে বিকেলের দিকে দুই শহরেই সামান্য থেকে হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মনোয়ার হোসেন কালের কণ্ঠকে বলেন, গতকাল পুরো খুলনা বিভাগেই মৃদু তাপপ্রবাহ (৩৬ থেকে ৩৭.৯ ডিগ্রি) ছিল।
আজ খুলনা শহরে এই অবস্থা থাকতে পারে। বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা খুব কম। হলেও শহরে বিকেলের দিকে সামান্য বৃষ্টি হতে পারে। গতকাল খুলনায় দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৬.৩ ডিগ্রি।
অন্যদিকে বরিশালে তাপপ্রবাহ না থাকলেও আজ বৃষ্টির সম্ভাবনা কম। মনোয়ার হোসেন বলেন, ‘বরিশাল শহরে দুপুর পর্যন্ত বৃষ্টির তেমন সম্ভাবনা নেই। বিকেলের দিকে হালকা বৃষ্টি হতে পারে। বরিশালে গতকাল দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আজ তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে।’
এদিকে আগের দিনের তুলনায় গতকাল দেশে বৃষ্টিপাত কম হয়েছে। আজ বৃষ্টিপাত আরো কমতে পারে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা। মনোয়ার হোসেন জানান, আগামী দুই দিনে দেশে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা কিছুটা কমে আসতে পারে। ফলে এ সময় তাপমাত্রা কিছুটা বাড়তে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ রংপুর, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি থেকে ভারি বর্ষণ হতে পারে। এ ছাড়া রাজশাহী, ঢাকা, বরিশাল ও খুলনা বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ সহ বৃষ্টি হতে পারে।
বৃষ্টিপাত কমে আসায় দেশের কিছু অঞ্চলে গতকাল তাপপ্রবাহ ফিরে এসেছে। অধিদপ্তর জানিয়েছে, রাজশাহী ও পাবনা জেলা এবং খুলনা বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। আজও এই তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। এ সময় সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে। তবে দুই জেলা ও এক বিভাগে চলা মৃদু তাপপ্রবাহ এই মুহূর্তে দেশের অন্য অঞ্চলে বিস্তার লাভ করার আশঙ্কা নেই বলে জানান আবহাওয়াবিদরা।
গতকাল পর্যন্ত দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু বরিশাল, চট্টগ্রাম, ঢাকা, সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগ পর্যন্ত অগ্রসর হয়েছে। এরপর রাজশাহী, রংপুর ও খুলনা বিভাগে মৌসুমি বায়ু প্রবেশ করবে। মনোয়ার হোসেন বলেন, ‘এই মুহূর্তে দেশের মধ্যাঞ্চল পর্যন্ত বর্ষা বিস্তার লাভ করেছে। আগামী তিন দিনের মধ্যে বর্ষা সারা দেশে বিস্তার লাভ করতে পারে।’
আগের দিনের তুলনায় গতকাল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বাড়ে ১.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল যশোরে ৩৭.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে এ সময় রাজধানীর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা কমেছে ০.৮ ডিগ্রি। ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩১.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে ১১৭ মিলিমিটার। চট্টগ্রামের সন্দ্বীপে ৫৫ ও সিলেটে ৪৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, আগামী দুই দিনে আবহাওয়ার সামান্য পরিবর্তন হতে পারে। পরের পাঁচ দিনে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু দেশের বাকি অংশে বিস্তার লাভ করতে পারে বলে জানিয়েছে অধিদপ্তর। ফলে এ সময় বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বাড়তে পারে।
এদিকে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তত্সংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত সুস্পষ্ট লঘুচাপটি দুর্বল হয়ে গুরুত্বহীন হয়ে পড়েছে। ঝোড়ো হাওয়ার আশঙ্কা না থাকায় সমুদ্রবন্দরগুলো থেকে সতর্কসংকেত নামিয়ে ফেলতে বলা হয়েছে।