বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে টানা তিন ম্যাচে হেরেছে ব্রাজিল। অক্টোবরে উরুগুয়ের বিপক্ষে হারের পর ১৭ নভেম্বর কলম্বিয়া বিপক্ষে ও বুধবার সকালে (বাংলাদেশ সময়) আর্জেন্টিনার বিপক্ষে ঘরের মাঠে ১-০ গোলে হেরেছে ব্রাজিল। এই তিন ম্যাচের আগেরটিতে ভেনেজুয়েলার বিপক্ষে ১-১ গোলের সমতায় মাঠ ছেড়েছিল সেলেসাওরা।
সব মিলিয়ে চলতি বছরের ছয়টি বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচ খেলে দুই জয় ও এক সমতায় সাত পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলে ছয়ে আছে ব্রাজিল। এতে করে ২০২৬ সালে মেক্সিকো, যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় অনুষ্ঠেয় বিশ্বকাপে ব্রাজিল খেলতে পারবে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে ব্রাজিল এখনও ১২টি ম্যাচ খেলবে। আগামী বছরের সেপ্টেম্বরে পুনরায় বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব শুরু হবে। ওই মৌসুমে ছয়টি ম্যাচ খেলবে ব্রাজিল। এরপর ২০২৫ সালে ছয়টি ম্যাচ খেলে বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব শেষ করবে। হাতে এখনও ১২টি ম্যাচ থাকায় এখনই ‘ব্রাজিলের ২০২৬ বিশ্বকাপ খেলা শঙ্কায়’ কথাটি বলা কঠিন।
এছাড়া আরও একটি নিয়মের কারণে ব্রাজিল এখনও বিশ্বকাপে জায়গা পাওয়া নিয়ে কঠিন সমীকরণে পড়েনি। কনমেবল অঞ্চল থেকে পূর্বে চারটি দল সরাসরি বিশ্বকাপে জায়গা পেত। পঞ্চম স্থানে থাকা দলের প্লে অফ খেলতে হতো। কিন্তু ২০২৬ বিশ্বকাপ হবে সব মিলিয়ে ৪৮ দল নিয়ে। সেজন্য কনমেবল অঞ্চল থেকে ছয়টি দল সরাসরি বিশ্বকাপে জায়গা পাবে। সপ্তম স্থানে থাকা দলকে খেলতে হবে বাছাইপর্ব।
ব্রাজিলের বাজে পারফরম্যান্সের পেছনে দুটি বিষয়কে দায়ী মনে করা হচ্ছে। প্রথমত, নেইমার জুনিয়রের ইনজুরি। ব্রাজিল এখন নেইমারহীন জীবনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারেনি। কলম্বিয়ার বিপক্ষে ভিনিসিয়াসের ইনজুরি ও আর্জেন্টিনার বিপক্ষে তাকে না পাওয়া একটি কারণ মনে করা হচ্ছে।
অন্য দায়টি চাপানো হচ্ছে দলটির কোচ ফার্নান্দো দিনিজের ওপর। অন্তবর্তীকালীন কোচের নতুন সিস্টেমের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারেনি তরুণ সেলেসাওরা। দিনিজের অধীনে হয়তো আর খেলতে হবে না ব্রাজিলের। জুনে কোপা আমেরিকা দিয়ে মাঠে নামবে ব্রাজিল। ওই আসরে কার্লো আনচেলত্তি নয়তো নতুন কেউ ব্রাজিলের কোচের দায়িত্ব নেবেন। নতুন সিস্টেমে মানিয়ে নিতে না পারলেই বরং বিপদ বাড়বে পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের।