সন্ত্রাসবাদবিরোধী আইনে সম্প্রতি গ্রেফতার নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের নারী (১৮) সদস্য জোবাইদা সিদ্দিকা নাবিলা আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।
গত বুধবার মহানগর হাকিম শাহিনুর ইসলামের খাসকামরায় তার জবানবন্দি রেকর্ড করা হয় বলে জানিয়েছেন পুলিশের প্রসিকিউশন বিভাগের উপ-কমিশনার জাফর হোসেন জানান।
বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের তিনি বলেন, কীভাবে জঙ্গিবাদে জড়িয়ে পড়েছিল এই নারী তা জবানবন্দিতে বলেছে। কয়েক বছর আগে তিনি ‘স্বেচ্ছায়’ জঙ্গিবাদে জড়িয়ে পড়ে বলে বিচারককে জানান। আদালত পুলিশের সংশ্লিষ্ট সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা রনপ কুমার ভক্ত বলেন, অনেকক্ষণ ধরে এই নারী জবানবন্দি দিয়েছে।
পুলিশের ভাষ্য, জঙ্গি সংগঠনের আরও নারী সদস্য গ্রেপ্তার হলেও তারা এই নারীর মতো প্রশিক্ষিত ছিল না। আনসার আল ইসলামের হয়ে মিডিয়া শাখার প্রচার-প্রচারণার দায়িত্ব পালন করতো তিনি। সামরিক শাখার সঙ্গে তার যোগাযোগ ছিল। তিনি দেশ ও দেশের বাইরে যেকোনো সময় জিহাদ করার জন্য প্রস্তুত ছিল।
গত ২৬ আগস্ট রাজধানীর বাড্ডা এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, ২০২০ সালের প্রথম দিকে নাম-পরিচয় গোপন করে ছদ্মনামে একটি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খোলে ওই তরুণী। পরে আনসার আল ইসলামের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজ ‘তিতুমীর মিডিয়ায়’যুক্ত হয়। তাদের উগ্রবাদী মতাদর্শ ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য সে ফেসবুক, টেলিগ্রামসহ বিভিন্ন অনলাইন প্লাটফর্মে ছদ্মনামে অ্যাকাউন্ট খোলে।
মামলার নথিপত্রে বলা হয়, এই নারী নিজে আনসার আল ইসলামের বিভিন্ন অফিশিয়াল ও আন-অফিশিয়াল চ্যানেলে যুক্ত ছিল। সেই চ্যানেলে আইডি ও আগ্নেয়াস্ত্র তৈরি করা এবং বিভিন্ন হামলায় কৌশলগত বিষয়ে ভিডিও এবং ফাইল শেয়ার করতো। এমনকি তার বিয়ের কথাবার্তা চললে তিনি ছেলে পক্ষকে জানান, জিহাদের ময়দানে ডাক এলে তিনি সামনের সারিতে থাকবে। এমনকি মৃত্যু এলেও পিছু হটবে না এবং ছেলে (পাত্র) এমন মতাদর্শের না হলে বিয়ে করবে না। এই নারী ঢাকার একটি কলেজে উচ্চ মাধ্যমিকে দ্বিতীয় বর্ষে পড়ে।