আত্মসমর্পণ না করলে আফগানিস্তানের পানশিরে হামলার ঘোষণা দিয়েছিল তালেবান। পানশির ছাড়া অন্য ৩৩টি প্রদেশ তালেবানের দখলে। বৃহস্পতিবার ( ১ সেপ্টেম্বর) থেকে দুর্গম পানশির দখলে অভিযান শুরু করেছে তালেবান সদস্যরা। কিন্তু অন্য প্রদেশগুলোর মতো সহজে এর নিয়ন্ত্রণ নিতে পারছেন না তারা। রবিবার জানা গেছে, এক হাজারের বেশি তালেবান সদস্যকে হত্যা, আহত অথবা আটক করা হয়েছে।
জানা যায়, পানশির উপত্যকায় তালেবান বাহিনী এবং তাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধের ডাক দেওয়া স্থানীয় মিলিশিয়া বাহিনীর মধ্যে তীব্র লড়াই হচ্ছে। পানশির দখলে রেখেছে আহমাদ মাসুদের ন্যাশনাল রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট (এনআরএফ)। তারা মূলত তালেবান বিরোধী। এলাকাটি দুর্গম পাহাড়ি অঞ্চল হওযার কারণে তালেবান সদস্যরা সেখানে সুবিধা করতে পারছেন না। দুই পক্ষ থেকেই প্রদেশটি দখলের বিষয়ে দাবি তোলা হলেও সেখানে প্রকৃতপক্ষে কোন অবস্থা বিরাজ করছে, তাও পরিষ্কার নয়। কাতারভিত্তিক সম্প্রচারমাধ্যম আল-জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, অন্তত ১ হাজার ৫০০ তালেবান সদস্যকে আটকের দাবি করেছে পানশির প্রদেশের নেতা আহমাদ মাসুদ এবং আফগানিস্তানের ভাইস প্রেসিডেন্ট আমরুল্লাহ সালেহের নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট এনআরএফ। কার্যত ওই তালেবান সদস্যদের ঘিরে রাখা হয়েছিল। তবে তারা ওই দাবির সত্যতা যাচাই করতে পারেনি।
আহমাদ মাসউদের অনুগত গোষ্ঠী বলছে, তারা খাওয়াক পাসে ‘হাজার হাজার সন্ত্রাসীদের’ ঘিরে রেখেছে। তাদের অস্ত্র ও গাড়ি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে।
এদিকে, তালেবান মুখপাত্র বেলাল করিমি রোববার টুইট বার্তায় বলেন, তার বাহিনী পানশির প্রদেশের সাতটি জেলার মধ্যে পাঁচটির দখল নিয়েছে। এখন প্রদেশটির কেন্দ্রের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে তালেবান সদস্যরা।
গত ১৫ আগস্ট তালেবানের হাতে আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের পতন হয়। কাবুল দখলের পর তিন সপ্তাহের বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও পানশির উপত্যকার নিয়ন্ত্রণ নিতে পারেনি তালেবান। উপত্যকাটি বিদ্রোহী ন্যাশনাল রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্টের (এনআরএফ) যোদ্ধাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।