২২ বাউল পেলেন আর্থিক সহায়তা

মুজিব শতবর্ষে সুনামগঞ্জ জেলার মরমি বাউলদেরকে আর্থিক সহায়তা দিয়েছে সুনামগঞ্জ জেলা পরিষদ। সোমবার (৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জেলা পরিষদ মিলনায়তনে সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল হুদা মুকুট ও জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জাকির হোসেন ২২ জন বাউলকে ১০ হাজার টাকা করে এই সহায়তার অর্থ তুলে দেন।

এসময় জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নুরুল হুদা মুকুট বললে, বাউলরা অসাম্প্রদায়িকতা, মানুষে মানুষে ভালবাসার কথা গানে গানে বলে বেড়ান, তাঁদের চাহিদাও কম। আমরা জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে ক্রান্তিকালে ২২ জন বাউলকে সহযোগিতা করেছি। এমন সহায়তা অব্যাহত থাকবে।

জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী মো.জাকির হোসেন বলেন, সুনামগঞ্জের মাটি বাউল গানের রসে ভেজা। অসংখ্য বাউলের তীর্থস্থান এই এলাকা। এই অঞ্চলের সাংস্কৃতিক ও মানবিক চর্চার মাধ্যমে মানুষকে সচেতন করছেন তারা। কিন্তু এই বাউলরা করোনায় পুরোপুরি কর্মহীন হয়ে পড়েছেন। জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে আমি চেয়ারম্যান মহোদয়কে তাদেরকে সহযোগিতার বিষয়ে কথা বলার পর তিনি সানন্দে সহযোগিতা দেন। আমরা আগামীতে অন্যান্য বাউলদেরও সহযোগিতার চেষ্টা করবো।

এসময় উপস্থিত ছিলেন তাহিরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অমল কর, লেখক সাংবাদিক সুমন কুমার দাস, লেখক সাংবাদিক শামস শামীম প্রমুখ।

সুনামগঞ্জ জেলা পরিষদ ২২ জন বাউলকে ১০ হাজার টাকা করে সহায়তাপ্রাপ্ত বাউলরা হলেন বাউল মকদ্দস আলম উদাসী, বাউল মকরম আলী, বাউল তছকির আলী, বাউল লাল শাহ্, বাউল আব্দুল তোয়াহেদ, বাউল আনোয়ার রেজা, বাউল আপেল মাহমুদ, বাউল কুকিল দাস, শাহ্ নূর জালাল, বাউল বিরহী কালা মিয়া, বাউল আব্দুল ওয়াদুদ, বাউল রশিদ উদ্দিন, বাউল বশির উদ্দিন সরকার, বাউল রথীন্দ্র চন্দ্র নাথ, যাত্রাশিল্পী হরিধন দাস, বাউল নজরুল ইসলাম, আলম শাহ, দুখু মিয়া, সুরত আলী, চন্দন মিয়া, জবান আলী ও আরতি রানী দাস।

ইত্তেফাক/এসজেড/বিএফ

LEAVE A REPLY