প্রতি কেজি খোলা চিনি ৭৪, প্যাকেট ৭৫ টাকা

চিনি।

প্রতি কেজি খোলা চিনির সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য ৭৪ টাকা এবং প্রতি কেজি প্যাকেটজাত চিনির সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য ৭৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বৈঠকে চিনির এই দাম নির্ধারণ করে দিল বাংলাদেশ সুগার রিফাইনারস অ্যাসোসিয়েশন। অপরিশোধিত চিনির আন্তর্জাতিক বাজারদর এবং স্থানীয় পরিশোধনকারী মিলসমূহের উত্পাদন ব্যয় বিবেচনায় এনে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করে বৃহস্পতিবার এই দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত ঐ বৈঠক শেষে অতিরিক্ত সচিব (আমদানি ও অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য) এ এইচ এম সফিকুজ্জামান সাংবাদিকদের এ দাম নির্ধারণের বিষয়টি জানান। এই সিদ্ধান্ত আজ শুক্রবার থেকেই কার্যকর হবে বলেও জানান তিনি।

সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘চিনির দাম বেড়ে ৮০ টাকায় উঠে গিয়েছিল। আমরা কেজিতে পাঁচ টাকা দাম কমিয়েছি। এখন থেকে প্রতি কেজি খোলা চিনি ৭৪ টাকা ও প্যাকেটজাত চিনি ৭৫ টাকার মধ্যে বিক্রি হবে।’ তিনি বলেন, ‘আমরা আগস্টের এলসির মূল্য বিবেচনায় নিয়ে এই দাম ঠিক করেছি। গড়ে প্রতি টন ৪১৯ ডলার ধরে কাজ করেছি। আজকে বাজারে ঢুকলে দেখা যাবে যে প্রাইসটা প্রায় ৫০০ ডলারের কাছাকাছি চলে গেছে। সেজন্য পূর্বাভাস করা মুশকিল।’ তিনি জানান, ‘চিনির দাম প্রতি মাসে ঠিক করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এই দামের ওপর ভিত্তি করে মিলগেট ও পাইকারি পর্যায়ে দাম আনুপাতিক হারে আমদানিকারকেরা ঠিক করবেন।

আজ শুক্রবার থেকে দাম কার্যকরের বিষয়ে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর তদারক করবে।’ তিনি আরো বলেন, এক দিনেই হয়তো নতুন দামে পৌঁছানো যাবে না। তবে নতুন করে বাজারে যেসব চিনি আসবে, সেগুলো নতুনভাবে নির্ধারিত দামেই বিক্রি করতে হবে। অতিরিক্ত সচিব বলেন, ‘মহামারির প্রভাবে এখন জাহাজের ভাড়া প্রায় ৩৬০ শতাংশ বেড়েছে। ডালের দামও বেড়েছে। পশ্চিমের যেসব দেশ থেকে আমরা এসব পণ্য সংগ্রহ করি, সেখানে মহামারির কারণে বাজার অস্থির হয়েছে। এসব বিষয় আমাদের মাথায় রাখতে হবে।’ বৈঠকে চিনি উত্পাদনকারী সিটি গ্রুপ, মেঘনা গ্রুপ, দেশবন্ধু গ্রুপসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

ইত্তেফাক/এসআই

LEAVE A REPLY