শুধু পরিষ্কার ঘর নয়, একই সঙ্গে বাথরুমকে পরিষ্কারও রাখতে হবে। পরিষ্কার বাথরুম মানেই যে অনেক খরচ করে ঝাঁ চকচকে বানাতে হবে, তা নয়। বাথরুম যেন থাকে একেবারে জীবাণুমুক্ত।
বাথরুমে যে শেলফ করতেই হবে তার কোনও মানে নেই৷ এখন বেশিরভাগ বাড়িতে বা ফ্ল্যাটেই দুটো বাথরুম থাকে৷ তাই একটায় শেলফ করে অন্যটা ফাঁকা রাখুন৷ স্টাইলিশ বিন রাখুন বাথরুমের এককোণায়৷শাওয়ার কার্টেন লাগাতে চাইলে হালকা রং না ব্যবহার করাই ভালো ৷কারণ পানি লেগে রং আরও ফেড হয়ে যেতে পারে৷ তার থেকে উজ্জ্বল রঙের শাওয়ার কার্টেন বাছুন৷দেখতে ভালো লাগবে আবার রং-ও টিকবে অনেক দিন৷ ছোট বাথরুম হলে শাওয়ার কার্টেনের ঝামেলায় না যাওয়াই ভালো৷ এতে আরও ছোট আর কনজেস্টেড দেখাবে পুরো বাথরুমটা৷
নীচে কিছু সহজ উপায়ের কথা জানানো হল যা বাথরুমকে পরিষ্কার এবং জীবাণুমুক্ত রাখবে।
স্টোরেজ
স্টোরেজ বানাতে কমোডের উপরের জায়গা ব্যবহার করতে পারেন। দরজার পিছনেও ছোট্ট স্টোরেজের ব্যবস্থা করতে পারেন। এতে অতিরিক্ত জায়গা লাগবে না। বেসিনের উপরে বা নীচের অংশেও তাক বানিয়ে নিতে পারেন। তাকের ব্যবস্থা করলে তা ভার্টিক্যালি করবেন। এতে জায়গা নষ্ট হবে না।
সুগন্ধী
বাথরুমে যেন দুর্গন্ধ বাসা বাঁধতে না পারে, সে দিকে খেয়াল রাখবেন। বাজারচলতি এয়ার ফ্রেশনার ব্যবহার করতে পারেন।যাতে বাথরুম দুর্গন্ধ মুক্ত হয় এবং আপনার মন ফুরফুরে থাকে। সুগন্ধী ফুল, ওডনিলও রাখতে পারেন।
এছাড়াও বাথরুমে খুব ভালো এগজস্ট এর ব্যবস্থা রাখা উচিত। যাতে দূষিত বাতাস খুব সহজেই বাইরে বেরিয়ে যেতে পারে। ফলে বাথরুমের পরিবেশ এবং আপনার বাথরুম জীবাণুমুক্ত থাকব।
গাছ ও ফুল
বাথরুমে রাখার জন্য কিছু ইনডোর প্লান্টস্ রাখা যেতে পারে। এর ফলে সৌন্দর্যের সঙ্গে সঙ্গে সতেজ, জীবাণুমুক্ত পরিবেশে পাওয়া সম্ভব।
শুকনো রাখার চেষ্টা করুন
ভেজা স্যাঁতস্যাঁত বাথরুম থেকে জীবাণু ও দুর্গন্ধের সৃষ্টি হয়। তাই বাথরুমের মেঝে শুকনো রাখার চেষ্টা করুন। বাথরুম পরিষ্কারের পরে দরজাটা খোলা রাখুন। দেখবেন কিছুক্ষণ পর মেঝে শুকিয়ে গেছে।
ইত্তেফাক/এফএস