দৈনন্দিন জীবনের কাজের চাপের ফলে আমাদের মস্তিষ্ক ক্রমশ কমজোর হয়ে পড়েছে। অফিসের চাপ, বাড়ির কাজের চাপে আমরা যেন মেশিনের মতোই হয়ে উঠছি। একঘেয়ে জীবন আমাদের মস্তিষ্কের ধার কমিয়ে দেয়। তাই ঘনঘন নানা অভিজ্ঞতার মধ্যে দিয়ে যেতে হবে, যাতে বিভিন্ন পরিস্থিতিতে অনবরত নানা ভাবে সাড়া দিতে থাকে আমাদের মস্তিষ্ক।
শরীরের সব অঙ্গ প্রত্যঙ্গের যত্ন নেওয়ার আলাদা ধরন রয়েছে। মস্তিষ্কের যত্ন নেওয়ার উপায় এটাই। নানা পরিস্থিতির মধ্যে ফেলে দিতে হবে নিজেকে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এতে আমাদের স্নায়ু কোষ-এর উদ্দীপনা বাড়ে। স্মৃতি ধ্বংস হওয়াকে আটকাতে পারে।
স্মৃতিশক্তি একবার কম গেলে সেখান থেকেই দেখা দেবে শরীরের নানান সমস্যা। কিন্তু মস্তিষ্ক সতেজ ও সুস্থ রাখতে গেল আমাদের খাওয়া -দাওয়ার দিকে অনেক বেশি নজর দিতে হবে। চিকিৎসকরা বলেন, খাওয়া-দাওয়ার পাশাপশি মেডিটেশন করলেও মস্তিষ্কের ভারসাম্য বজায় থাকে।
শিকাগোয় আমেরিকান সাইকোলজিকাল সোসাইটির এক সম্মেলনে নিউ মেক্সিকো হাইল্যন্ডস ইউনিভার্সিটির গবেষকরা দিয়েছেন নতুন তথ্য। তাদের মতে, হাঁটা, দৌড় এবং সাইক্লিং আমাদের মস্তিষ্ককে খুব ভাল রাখে। তারা বলছেন, রাস্তায় হাঁটার সময়, পায়ে চাপ পড়ে। আর ওই পায়ের চাপ থেকে ধমনীর মাধ্যমে রক্ত যায় আমাদের মস্তিষ্কে। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, এতে মস্তিষ্কের সাস্থ্য ভালো থাকে। নিয়ম করে রোজ হাঁটুন, দৌড়ান অথবা সাইক্লিং করুন। ভালো থাকবে আপনার মস্তিষ্ক।
দেখে নেওয়া যাক সতেজ মস্তিষ্কের জন্য কী কী করা যেতে পারে
আখরোট খান প্রতিদিন
প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় আখরোট রাখুন।ফ্যাটি অ্যাসিড, ওমেগা থ্রি, আর মিনারেলস সহ অনেক ধরনের ফাইবার দিয়ে তৈরি হয়ে থাকে এই আখরোট। আখরোটে থাকা এইসব উপাদান স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। এবং শরীরে অনেক উপকার হয়।
দাঁত মাজবেন কোন হাতে?
যে হাত এমনিতে কম ব্যবহার করেন, সকালের দাঁত মাজার জন্য ব্যবহার করুন সেই হাত । যদি আপনি ডান হাতি হন, তবে বাঁ হাতে ব্রাশ করুন। যে হাতে ব্রাশে পেস্ট লাগান, আজ থেকে অন্য হাতে তা চেষ্টা করুন। গবেষণা বলছে, মহজের ধার বাড়ানোর জন্য মস্তিষ্কের দু’টো অংশই পালটে পালটে ব্যবহার করা উচিত। এতে ট্যাকটাইল সেন্সকে কাজে লাগানো হয় ভালো ভাবে।
ঘরের কাজ মাঝে-মাঝে চোখ বন্ধ করে করুন
আপনার ঘর আপনার চেনা জায়গা। কী কোথায় রয়েছে, সব আপনার জানা। চোখ বন্ধ করে হাতের নাগালে সে সব পেতে গেলে ঘন-ঘন মস্তিষ্কে বার্তার আদান প্রদান হয়, মগজ সচল রাখার জন্য তা জরুরি।
সকালের রুটিন বদলে ফেলুন
রোজ সকালে উঠে একই রকম ভাবে দিন শুরু করবেন না। ছোট ছোট বদল আনুন। এসব খুঁটিনাটি বদলে মাথার কাজ অনেক বাড়ে।
ইত্তেফাক/এফএস