এরিয়াল সিল্ক অ্যাক্ট এ নওশাবা

কাজী নওশাবা আহমেদ

এরিয়াল সিল্ক অ্যাক্ট মূলত নাচের একটি ফরম্যাট। সহজ করে বললে, উঁচুতে কাপড় বেঁধে, সেই কাপড় ধরে শূন্যে নৃত্যের ফর্মকে এরিয়াল সিল্ক অ্যাক্ট বলে। এমন একটি প্রজেক্ট কাজ করেছেন দেশের জনপ্রিয় অভিনেত্রী কাজী নওশাবা আহমেদ। ‘আমার হিয়ার মাঝে’ রবীন্দ্রসংগীতের সঙ্গে এরিয়াল সিল্ক অ্যাক্টে দেখা যাবে তাকে। আগস্টের ১৮ তারিখে হয়েছে গানের দৃশ্যের শুটিং।

নওশাবা ইত্তেফাক অনলাইনকে জানান, ‘অনন্য মামুন পরিচালিত ‘অমানুষ’ সিনেমার শুটিং শেষ হয়েছে গত ১৮ আগস্ট। এই ছবিতে একটি গানের সঙ্গে শূন্যে ঝুলে নেচেছি। সিনেমায় আমার চরিত্রটি গুরুত্বপূর্ণ কিন্তু আমার কোনো গানে পারফর্ম করার কথা ছিলো না। হঠাৎ করেই পরিচালক অনন্য মামুন বললেন যে, আমাকে একটি গানে পারফর্ম করতে হবে এবং গানটি রবীন্দ্রসংগীত। রবীন্দ্রসংগীতের কথা শুনে আমি মনে মনে এরিয়াল সিল্ক অ্যাক্টের কথা চিন্তা করি। কারণ, নৃত্যের এই ফরম্যাটটা আমার দেখতে খুব ভালো লাগে। এই নৃত্য আমি কখনোই করিনি। আমি কোরিওগ্রাফার আলিফকে বিষয়টি জানালাম। তিনিও খুব সাহস দিলেন। কিন্তু পরিচালককে বলতে সাহস পাচ্ছিলাম না। তবে যখন বললাম, তিনি রাজি হয়ে গেলেন।’

সাহস নিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ কাজটি করতে পেরেছি: নওশাবা

অমানুষ সিনেমায় আরও অভিনয় করেছেন নিরব, মিথিলা, মিশা সওদাগরসহ অনেকে।

নওশাবা বলেন, ভালোলাগার বিষয় হলো- দেশের সিনেমা ও ওয়েব সিরিজে এরিয়াল সিল্ক অ্যাক্ট ফরমেটে এখনো কোনো কাজ হয়নি। এই ফরম্যাটটা চূড়ান্ত হবার পর আমরা তিন দিন রিহার্সাল করেছি ইনডোরে। আর ফাইনালি যখন দৃশ্যধারণ হয়েছে, তখন শুটিং করেছি রাজধানীর তিনশ ফিটের পাশে। একটি বটগাছের সঙ্গে কাপড় বেঁধে এরিয়াল সিল্ক অ্যাক্টটা করেছি। যা ছিলো অনেক ঝুঁকিপূর্ণ একটি কাজ। এটা করতে প্রচণ্ড শারীরিক শক্তি লেগেছে।

নওশাবার কথায়, আমি ২০১০-১২ প্যারালাইডজ ছিলাম। এরপর মা হয়েছি। এসবের কারণে এরিয়াল সিল্ক অ্যাক্টটা করা নিয়ে শঙ্কায় ছিলাম। তবে আলিফ আমাকে অনেক সাহায্য করেছে, সাহস জুগিয়েছে। শেষ পর্যন্ত সার্থক হয়েছি।’

সাহস নিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ কাজটি করতে পেরেছি: নওশাবা

বর্তমানে নওশাবা কাজ করছেন আরিফ খান পরিচালিত ‘দোলাচল’ ও রাশেদ রাহাতের ‘ডোম-লাশকাটা ঘর’ ছবিতে। মুক্তির অপেক্ষায় আছে অনন্য মামুন পরিচালিত ‘অমানুষ’সহ বেশ কয়েকটি ওয়েব ফিল্ম। সেগুলো হলো- ‘চন্দ্রবতী’, ‘আলগা নোঙর’ ‘৯৯ মেনশন’।

LEAVE A REPLY