এমা রাদুকানু ও লাইলাহ ফার্নান্দেজ।
বয়সের দিক থেকে তারা টিনেজার (১৩-১৯ বছর বয়সি)। তারুণ্যে পা দিলেও কিশোরী ভাবটা এখনো রয়ে গেছে শরীরে। তাদের মধ্যে থেকেই একজন হবেন ইউএস ওপেনের রানি। ২০০৪ সালের পর ফের টিনেজার রানির অপেক্ষায় আছে ইউএস ওপেন। সেবার এলেনা দেমেন্তিয়েভাকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন সভেতলানা কুজনেেসাভা। এবার কে হবেন? কানাডার লাইলাহ ফার্নান্দেজ নাকি ব্রিটেনের এমা রাদুকানু। টেনিসের উন্মত্ততা জানতে চোখ রাখতে হবে আজ।
তারা দুজন ফাইনাল খেলবেন আসরের শুরুতে সেটা হয়তো কেউ কল্পনাতেও আনেননি। আনেননি বলেই উন্মুক্ত যুগে এই প্রথম শীর্ষবাছাই ছাড়া কোনো গ্র্যান্ডস্ল্যাম ফাইনাল হচ্ছে। আর ১৯৯৯ সালের পর ফের অল টিনেজ ফাইনাল দেখতে যাচ্ছে ইউএস ওপেন।

চলতি আসরে ১৯ বছর বয়সি লাইলাহকে বলা হয় জায়ান্ট কিলার। তার শিকারের তালিকা শুনলে চোখ ওপরে উঠে যাবে যে কারোরই। বর্তমান চ্যাম্পিয়ন নাওমি ওসাকা, ১৬ নম্বর বাছাই অ্যাঞ্জেলিক কেরবার, ৫ নম্বর বাছাই এলিনা সভিটোলিনার পর সেমিফাইনালের তালিকায় যোগ দিয়েছেন দ্বিতীয় বাছাই আরিনা সাবালেঙ্কা। আর্থার অ্যাশে স্টেডিয়ামে বেলারুস কন্যাকে ৭-৬ (৭-৩), ৪-৬, ৬-৪ গেমে হারান র্যাঙ্কিংয়ের ৭৩-এ থাকা লাইলাহ।
অন্যদিকে লাইলাহর থেকেও দ্বিগুন দূরে (১৫০) থাকা রাদুকানু দাপট দেখিয়ে আসছেন বাছাইপর্ব থেকেই। এখনো পর্যন্ত একটি সেটেও হারেননি ১৮ বছর বয়সি এই তরুণী। সেমিফাইনালে মারিয়া সাক্কারিকে ৬-১, ৬-৪ সেটে উড়িয়ে দেওয়ার পর তাকে নিয়ে ৪৪ বছরের আক্ষেপ ঘুচানোর স্বপ্ন দেখছে ব্রিটেন। ১৯৭৭ সালে উইম্বলডনে ভার্জিনিয়া ওয়েডের পর আর কোনো ব্রিটিশ নারীকে গ্র্যান্ডস্ল্যাম জিততে দেখেনি তারা।
সেই স্বপ্ন পূরণে চাপ ছাড়াই খেলতে নামবেন রাদুকানু, ‘আমি কখনই ভাবিনি, এত দ্রুত গ্র্যান্ডস্ল্যামের ফাইনাল খেলব। জেতার জন্য কোনো চাপ অনুভব করছি না। যে কোনো চাপই স্ব প্ররোচিত। কেমন পারফর্ম করতে চাই সে ব্যাপারে নিজের মান অনুযায়ীই প্রত্যাশা আছে আমার। তবে ফলাফলের ক্ষেত্রে কোনো ধরনের চাপ নেই।’
ওদিকে লাইলাহও ছেড়ে কথা বলবেন না। সাবালেঙ্কাকে হারানোর পর তিনি বলেন, ‘আমি শুধু ফাইনালে থাকতে চেয়েছিলাম। প্রতিটি পয়েন্টের জন্য লড়াই করেছি। বছরের পর বছর রক্তক্ষয়ী পরিশ্রম ও ত্যাগের কারণেই আমার মধ্যে কঠোর মানসিকতা এসেছে।’
ইত্তেফাক/টিআর