মোস্তফা সারওয়ার ফারুকীর ‘নো ল্যান্ডস ম্যান’ ২৬ তম বুসান চলচ্চিত্র উৎসবে কিম জিসেউক পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছে।
ছবির শতকরা ৮০ ভাগ ইংরেজি। আর বাকিটা হিন্দি এবং উর্দু। ভাষার ব্যাপারটা প্রসঙ্গে ফারুকী বললেন, ‘শতকরা ৮০ ভাগ ইংরেজি। আর বাকিটা হিন্দি এবং উর্দু। কাহিনিটা ঘটছে মূলত নিউ ইয়র্কে, এবং বাকিটা অস্ট্রেলিয়া, ভারত এবং পাকিস্তানে।’

ছবির বিষয়-ভাবনাটা ফারুকীর নিজের অতীত। তার অতীতই এই ছবির ভাবনার মূল বিষয়। ফারুকীর বাড়ি নোয়াখালিতে। নিজের পরিচিতি গোপন রাখার যন্ত্রণা নিয়ে তিনি বড় হয়ে উঠেছেন। এই পরিচিতি চেপে রাখাটা ভীষণ যন্ত্রণার। বাংলাদেশে নোয়াখালির মানুষেরা ভীষণভাবে ট্রোলড হয়। সারা দেশের মানুষই ট্রোল করে নোয়াখালি অঞ্চলের মানুষদের। ফারুকীও ট্রোলড হওয়ার ভয়ে ছোটবেলা থেকেই তার নিজের জায়গা কোনটা সেটা গোপন করে যেতেন। কেউ জিজ্ঞেস করলে অন্য একটা জায়গার নাম বলতেন।
‘এটা পৃথিবীর সব জায়গায় আছে। ভাবনার এই আন্তর্জাতিকতা আমাকে উৎসাহিত করেছে এই ছবিটা বানাতে। নিজেকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে যে যন্ত্রণা রয়েছে, সেই সঙ্কট নিয়েই এই ছবি। তুমি কে? এই প্রশ্ন কুরে কুরে খায় যেসব মানুষকে তারাই আমার ছবির চরিত্র।’

নো ল্যান্ডস ম্যান–এ বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন নওয়াজ উদ্দিন সিদ্দিকি, তাহসান খান, অস্ট্রেলিয়া থেকে মেগান মিশেল, ভারত থেকে ঈশা চোপড়া, বিক্রম কোচার, কিরণ খোজে প্রমুখ। নওয়াজ উদ্দিন সিদ্দিকি শুধু এই ছবিতে মূল চরিত্রে অভিনয়ই করেন নেই, তিনি নিজেও এই ছবির একজন প্রযোজক।
সংগীত পরিচালনা করেছেন এ আর রহমান। এ আর রহমান প্রসঙ্গে ফারুকী বলেন, ‘এ আর রহমান এর মত সুর এশিয়ায় কেউ করতে পারবে না। উনি ফিল্ম মিউজিকে বিপ্লব ঘটিয়েছেন। আমি গল্পের সারসংক্ষেপ শুনিয়ে জিজ্ঞেস করেছিলাম আপনি কি রাজি? বললেন যে তিনি ছবি না দেখে রাজি হবেন না। চেন্নাই গেলাম। ছবি দেখে শুধু রাজি হলেন না, প্রযোজনা করতেও রাজি হলেন।’