আলজেরিয়া, মরক্কো ও তিউনিশিয়া থেকে আসা অবৈধ অভিবাসন প্রত্যাশীদের প্রশ্নে কঠোর অবস্থান নিতে চলেছে ফ্রান্স৷ ওই তিন দেশের নাগরিকদের ফ্রান্সের ভিসা কমিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ম্যাক্রোঁ সরকার৷
মাগরেব অঞ্চলের দেশ তিনটি ‘অবৈধ অভিবাসন-প্রত্যাশীদের’ ফেরানোর বিষয়ে অসহযোগিতা করায় ফ্রান্স সরকারের এই সিদ্ধান্ত৷ মঙ্গলবার ফরাসি সরকারের মুখপাত্র গ্যাব্রিয়েল আট্টাল জানান, এ কারণে আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে মরক্কো আর আলজেরিয়ার নাগরিকদের ভিসা অর্ধেক এবং তিউনিশিয়ার নাগরিকদের ভিসা এক তৃতীয়াংশ কমানো হবে৷ ইউরোপ ওয়ান রেডিওকে আট্টাল গ্যাব্রিয়েল বলেন, ‘‘হ্যাঁ, এটা কঠিন এবং অভূতপূর্ব সিদ্ধান্ত আর এমন সিদ্ধান্ত নেয়ার প্রয়োজন দেখা দিয়েছে ওইসব দেশ তাদের এমন নাগরিকদের ফিরিয়ে নিতে অস্বীকার করায়, যাদের আমরা ফ্রান্সে রাখতে চাই না বা রাখতে পারি না৷”

ফ্রান্স সরকারের অভিযোগ, ফরাসি আদালত আলজেরিয়া, মরক্কো আর তিউনিশিয়া থেকে আসা অভিবাসন প্রত্যাশীদের অভিবাসনের আবেদন খারিজ করার পরও সেসব দেশ তাদের ফিরিয়ে নেয়ার কোনো উদ্যোগ নেয় না৷ বরং সেসব দেশে প্রবেশের অনুমতি দিতেও অস্বীকার করা হয়৷ সম্প্রতি ফ্রান্সের ডানপন্থি দলগুলো অভিবাসন সংক্রান্ত আইন কঠোর করার দাবি তুলেছে৷

সোমবার র্যালি পার্টির নেত্রী লে পেন ফ্রান্স টু টেলিভিশনকে বলেন, ২০২২ সালে অনুষ্ঠেয় নির্বাচনে জিতে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট হলে তিনি অভিবাসন আইন কঠোর করার বিষয়ে গণভোট করাবেন৷ ২০১৭ সালের নির্বাচনে মাক্রোঁর কাছে (তখন তার দলের নাম ছিল ন্যাশনাল ফ্রন্ট) হেরে যাওয়া লে পেন আরো জানান, প্রেসিডেন্ট হলে তিনি আবাসন, চাকরি এবং সামাজিক নিরাপত্তা সংক্রান্ত সুযোগ-সুবিধার ক্ষেত্রে ফরাসি নাগরিকদের অগ্রাধিকার দেবেন৷ ডয়েচভেলে।