টালিগঞ্জের ফ্লোরে, মেকআপ রুমে মাদক নিচ্ছে শিল্পীরা!

শনিবার মধ্যরাতে মুম্বইয়ের সমুদ্রে চলা এক ক্রুজ রেভ পার্টি থেকে আটক হয়েছেন শাহরুখ-পুত্র আরিয়ান খান। আর সেই খবর সামনে আসতেই নড়চড়ে বসেছে গোটা ইন্ডাস্ট্রি। এতদিন শাহরুখের ভাবমূর্তি ‘মোটামুটি স্বচ্ছ’ বলেই ধারণা ছিল একাংশের! আর সেখানে তাঁর ছেলে মাদক নিচ্ছে, গ্রেপ্তার হয়েছে  এনসিবি-র হাতে শুনে চমকে উঠেছেন কেউ কেউ। আর এবার কলকাতার এক বিখ্যাত প্রযোজক দাবি করলেন, টলিউডেও অনেকে মাদকের নেশায় আসক্ত।

বলিউডের মাদক যোগ অবশ্য নতুন নয়। এর আগে বহু অভিনেতার নাম জড়িয়েছে মাদক-কাণ্ডে। বিশেষ করে অভিনেতা সুশান্তের মৃত্যুর পর এই ব্যাপারটা বিশেষ করে সামনে আসে। সেই সময় সুশান্তের প্রেমিকা রিয়া চক্রবর্তী কারাবন্দি ছিলেন দীর্ঘ সময়। নাম উঠেছিল দীপিকা পাড়ুকোন, সারা আলি খান এর মতো নায়িকাদেরও।
 
কলকাতার বাংলা ইন্ডাস্ট্রির গুঞ্জন বলিউডের মতো রমরমা না হলেও, মাদক সেবনে কম যায় না টলিউড। গাঁজা তো চলেই। মাঝে মধ্যেই নাকি এলএসডি, কোকেনের মতো মাদকও নেওয়া হয়। আর সেই গুজবকেই স্পষ্ট বললেন প্রযোজক রানা সরকার। আরিয়ানের গ্রেপ্তারের পরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করেন রানা। 

যেখানে তিনি লিখেছেন, ‘কলকাতায় যেসব সেলিব্রিটিরা নেশার সঙ্গে জড়িত এখনই এসব ছেড়ে দিন… মেগা সিরিয়ালের ফ্লোরে, ফিল্মের মেকআপ রুমে, ফটোশ্যুটে, পাবলিক প্লেসে সেলেব্রিটিরা বেপরোয়া ভাবে নেশা করছে শোনা যাচ্ছে… ডিরেক্টর, প্রোডিউসার, চ্যানেল অনেক ক্ষেত্রেই প্রশ্রয় দিচ্ছেন… যেকোনো সময় ধরা পরে যাবেন…পরিবারের কথা ভাবুন, সমাজের কথা ভাবুন, কেরিয়ারের কথা ভাবুন…। ’

প্রসঙ্গত, আজ আদালতে তোলা হবে আরিয়ানকে। তাঁর আইনজীবীর পক্ষ থেকে আজই জামিনের জন্য আবেদন করা হবে। সতীশ মানশিন্ডের দাবি, ওই প্রমোদতরীর কোনও টিকিট আরিয়ানের কাছে ছিল না। না ছিল কোনও সিট বা কেবিন তাঁর নামে। তাঁকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল বলেই তিনি গিয়েছিলেন। শুধুমাত্র হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটের ভিত্তিতেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে আরিয়ানকে বলেও দাবি করেছেন এই দুঁদে আইনজীবী।

LEAVE A REPLY