নেশনস লিগের ফাইনালে স্পেনের প্রতিপক্ষ ফ্রান্স

এ যেন ‘থ্রিলার’ সিনেমাকেও হার মানায়। দুইবার পিছিয়ে যেয়েও শেষ মিনিটের গোলে নাটকীয় এক জয় তুলে নিয়েছে ফ্রান্স। উয়েফা নেশনস লিগের দ্বিতীয় সেমি-ফাইনালে বেলজিয়ামকে ৩-২ গোলে হারিয়ে ঘুরে দাড়ানোর গল্প লিখল বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। রবিবার (১০ অক্টোবর) অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ফাইনালে তাদের প্রতিপক্ষ স্পেন।

জুভেন্তাস স্টেডিয়ামে প্রথমার্ধের পুরোটা জুড়েই ছিল বেলজিয়ামের। দেশটির সোনালি প্রজন্মের খেলোয়াড়রা আরও একবার ট্রফির স্বপ্ন দেখাতে থাকেন সমর্থকদের। ৩৭ মিনিটে কেভিন ডি ব্রুইনার অ্যাসিস্টে ইয়ানিক কারাসকোর গোলে এগিয়ে যায় রেড ডেভিলরা। তিন মিনিট পরই ব্যবধান দ্বিগুণ করেন রোমেলু লুকাকু। অ্যাসিস্ট আবারও ডি ব্রুইনা।

I

পিছিয়ে পরলেও দমে যায়নি ফ্রান্স। দ্বিতীয়ার্ধে পুরো মাঠ একাই দাপিয়ে বেড়ান কিলিয়ান এমবাপ্পে। দুর্দান্ত সব ড্রিবলিংয়ে মুগ্ধ করেছেন এই ফরোয়ার্ড। ৬২ মিনিটে তার অসাধারণ অ্যাসিস্টে পাঁচ ফুটবলারের ফাঁক দিয়ে বল জালে পাঠান করিম বেনজেমা। ৬৯ মিনিটে পেনাল্টি থেকে নিজেই গোল করেন এমবাপ্পে। সমতায় আসে খেলায়।

এরপর দুই পাশ থেকেই চলে আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণ। ৮৭ মিনিটে লুকাকুর গোলে জয় প্রায় পেয়েই যাচ্ছিল বেলজিয়াম। কিন্তু মাঝখানে বাধা দেয় ভিএআর। এরপর পল পগবার বাকানো ফ্রি-কিক পোস্টে লাগলেও ঠিকই বেলজিয়ামের জাল খুজে নেন থেও এরনন্দেজ। বেলজিয়াম ডিফেন্ডাররা বল ক্লিয়ার করতে ব্যর্থ হলে বল পেয়ে যান এই ডিফেন্ডার। ডি বক্স থেকে বা পায়ের বুলেট শটে ফ্রান্সের জয় নিশ্চিত করেন তিনি।

I

রোমাঞ্চকর এই জয়কে সেরার তালিকায় রাখতে কোনো দ্বিধাবোধ করলেন না ফ্রান্স কোচ দিদিয়ের দেশম। তিনি বলেন, ‘প্রতিপক্ষের মান ও খেলার ধরণ বিবেচনায় এটি আমাদের দেখা অন্যতম সেরা ম্যাচ। প্রতিকূলতা সত্ত্বেও ঘুরে দাড়ানোর তাড়না ও মানসিকতা ছিল আমাদের। এটা অসাধারণ এক মুহুর্ত।’

দেশম আরও বলেন, ‘প্রথমার্ধে ভাগ্য পাশে ছিল না আমাদের। একটু বেশিই পিছিয়ে ছিলাম আমরা। ২০ মিনিট ভালো খেলেছিল তারা, কিন্তু এরপর আমাদের আর বিপদ আসেনি এবং প্রচুর সুযোগ পেয়েছিলাম। ম্যাচের ফলেই প্রকাশ পায় দলের মানসিকতা কেমন ছিল। আমরা এখানে ফাইনাল খেলতে এসেছি এবং সেখানে পৌছেও গেছি।’

I

অন্যদিকে, বেলজিয়াম কোচ রবের্তো মার্তিনেজের কন্ঠ জুড়ে শুধুই হতাশা। তিনি বলেন, দ্বিতীয়ার্ধে আমরা কিছুটা আবেগী ছিলাম। হয়তো ফাইনাল ওঠা নিয়ে একটু বেশিই ভাবছিলাম। আমরা করতে পারিনি যা করা উচিত ছিল। আমাদের কারণেই ফ্রান্স ঘুরে দাড়াতে পেরেছে।’

LEAVE A REPLY