কান্নায় ভেঙে পড়লেন আবুল হায়াত

দুজনই বাংলা মঞ্চ, টিভি নাটক ও সিনেমার ডাকসাইটে অভিনেতা। তাদের বন্ধুত্ব দীর্ঘ ৫৫ বছরের। এত দিনের বন্ধুত্ব শেষ হলো মৃত্যুতে। গতকাল সোমবার হুট করেই না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছেন দাপুটে অভিনেতা ড. ইনামুল হক। আজ মঙ্গলবার সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা জ্ঞাপনের জন্য তাঁর মরহেদ জাতীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে রাখা হয়। বন্ধুকে বিদায় দিতে এসে কান্নায় ভেঙে পড়েন গুণী অভিনেতা আবুল হায়াত।

ড. ইনামুল হকের মরদেহ শহীদ মিনারে পৌঁছার আগেই আবুল হায়াত সেখানে পৌঁছে যান। গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে কথা বলতে পারেননি। বারবার ডুকরে কেঁদে উঠেছেন। শেষ পর্যন্ত বলেছেন, ‘আমাদের বন্ধুত্ব ৫৫ বছরের। আর পারছি না। কিছুই বলার নেই।’ ড. ইনামুল হকের মরদেহ আসার পর কোনোক্রমে মঞ্চে গিয়ে হাতের ফুলগুলো দিয়ে বন্ধুকে শেষ বিদায় জানান আবুল হায়াত। এরপর ফের তিনি কান্নায় ভেঙে পড়েন।

আবুল হায়াতের সঙ্গে ছিলেন তার মেয়ে নাতাশা হায়াত এবং পরিবারের সদস্যরা। কারো সান্ত্বনাতেই কান্না থামছিল না বর্ষীয়ান এই অভিনেতার। এরপর তাকে মঞ্চের পেছনে একটু খোলামেলা জায়গায় বসানো হয়। তখনো তার চোখ বেয়ে ঝরছিল অশ্রু। আজ সকাল ১১টার দিকে দেশের অন্যতম নাট্যজন ও শিক্ষক ড. এনামুল হকের মরদেহ শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে আনা হয়। এই গুণী অভিনেতাকে শ্রদ্ধা জানাতে সেখানে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি ও রাজনৈতিক জগতের লোকজন ছাড়াও সর্বস্তরের জনগণ।

শহীদ মিনারে এসেছিলেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাসান মাহমুদ, ঢাকা দক্ষিণের মেয়র ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপস, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডাক্তার জাফরুল্লাহ, অভিনেত্রী শাহনাজ খুশি, তানজিকা, নাতাশা হায়াত, মোমেনা চৌধুরী, বৃন্দাবন দাস, মীর সাব্বির, নির্মাতা অরণ্য আনোয়ার, ইনামুল হকের দুই জামাতা অভিনেতা লিটু আনাম ও সাজু খাদেম, দুই মেয়ে হৃদি হক ও প্রৈতি হক। বাদ জোহর বনানী কবরস্থানে সমাহিত করা হয় মঞ্চনাটকের এই প্রবাদপুরুষকে।

LEAVE A REPLY