ভারতের বিশ্বকাপজয়ী অল-রাউন্ডার যুবরাজ সিংয়ের বিরুদ্ধে বর্ণবাদী মন্তব্যের অভিযোগে মামলা হয়েছিল সেই গত বছর। ইন্সটাগ্রাম লাইভ চ্যাটে কথা বলতে গিয়ে অপর এক খেলোয়াড় সম্পর্কে বর্ণবিদ্বেষী মন্তব্য করেছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছিল যুবরাজ সিংয়ের বিরুদ্ধে। সেই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে গত বছর তার বিরুদ্ধে এফআইআরও দায়ের হয়। পুলিশ এবার যুবরাজকে গ্রেপ্তারের আবেদন জানিয়েছে আদালতে।
ভারতীয় গণমাধ্যমসূত্রে জানিয়েছে, পাঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্ট যুবরাজকে গ্রেপ্তারের নির্দেশনা দিলেও অন্তর্বর্তী জামিনে মুক্তি দেওয়া হবে। গতবছর ইন্সটাগ্রামে লাইভ চ্যাট চলাকালীন যুবরাজ সিং অপর এক ক্রিকেটারের নামে যে বর্ণবিদ্বেষী মন্তব্য করেছিলেন, তার প্রেক্ষিতে হরিয়ানা পুলিশ যুবরাজ সিংকে গ্রেপ্তার করতে চায়। যদি যুবরাজকে গ্রেপ্তার করা হয়, তবে জামিনের কাগজ ও ব্যক্তিগত বন্ডে তিনি অন্তর্বর্তী জামিন পেতে পারেন।
আদালতের এই রায়ে নিঃসন্দেহে যুবরাজের জন্য স্বস্তিদায়ক। গতবছর রজত কালসান নামক এক ব্যক্তি যুবরাজ সিংয়ের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৫৩ এ (শত্রুতা ছড়ানো) ও ১৫৩বি (জাতীয় ঐক্যের বিরুদ্ধে বিদ্বেষমূলক কার্যকলাপ) এবং জনজাতি ও উপজাতি সংরক্ষণ ও নৃশংসতা আইন ১৯৮৯- এর অধীনে এফআইআর দায়ের করেন। ওই এফআইআর খারিজ করতেই আদালতে আবেদন জানিয়েছিলেন যুবরাজ সিং। গত সপ্তাহে এই মামলার শুনানি শুরু হয়।
আদালতে যুবরাজ সিংয়ের সপক্ষে হাজির কাউন্সিল পুনীত বালি বলেন, যুবরাজ সিং কোনো ধরনের বিদ্বেষ, শত্রুতা বা জনজাতি-উপজাতিদের বিরুদ্ধে খারাপ উদ্দেশ্য নিয়ে মন্তব্য করেননি। ভাং খাওয়া নিয়ে নির্দিষ্ট কোনো এক ব্যক্তি সম্পর্কে তিনি ওই মন্তব্য করেছিলেন। যদিও মামলা দায়ের হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত যুবরাজ সিং অন্তর্বর্তী জামিনের আবেদন করেননি। এতদিন হরিয়ানা পুলিশও তাকে গ্রেপ্তার করার কোনো উদ্যোগ নেয়নি।