ধীরে ধীরে আপনার ত্বক রুক্ষ ও শুষ্ক হয়ে লাবণ্য হারাচ্ছে? এমন হলে হতাশ হবেন না। কারণ সমাধান আপনার হাতের নাগালেই আছে। শুনতে অবাক মনে হলেও স্কিনের যেকোনো সমস্যায় দারুণ কাজ করে আনারস। আর স্কিনের যত্নে এই ফলের কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। আপনি যদি প্রাকৃতিক উপায়ে আপনার ত্বকের যত্ন নিতে চান তাহলে চলুন আনারসের ব্যবহার জেনে নেওয়া যাক।
চিকিৎসকদের মতে, আনারস ত্বক, চুল ও হাড়ের জন্য ভালো। কেউ যদি স্ক্রিনে ব্রণ, র্যাশ হওয়ার মতো সমস্যায় ভোগেন, তাহলে স্কিনের লাবণ্য ফিরিয়ে দ্রুত কাজ করে আনারস। আনারসের রসে ভিটামিন ‘সি’ ও অ্যান্টি অক্সিডেন্ট রয়েছে, যা স্কিন হাইড্রেট ও সুস্থ রাখে। সেই সঙ্গে চেহারায় বয়সের ছাপ কমায় আনারস।
ত্বকের যত্নে আনারসের ব্যবহার : ত্বকের যত্নে আনারসের ভিন্ন ভিন্ন ব্যবহার আছে।
আনারসের জুসের ব্যবহার :
তুলা দিয়ে সারা মুখে আনারসের রস লাগান। তারপর ৫ মিনিট রেখে ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন। খেয়াল রাখবেন, খুব বেশিক্ষণ যেন না থাকে। কারণ আনারসে থাকা এসিডের কারণে মুখ পুড়ে যেতে পারে।
স্ক্রাব হিসেবে ব্যবহার :
আনারস প্রাকৃতিক স্ক্রাবার হিসেবে ব্যবহৃত হয়, যা ত্বকের ডেড সেলগুলো তুলে ফেলতে সাহায্য করে। আনারস স্লাইস করে কেটে চার ভাগ করে নিন। তারপর মুখসহ পুরো শরীরে স্ক্রাবার হিসেবে ব্যবহার করুন। কিছুক্ষণ স্ক্রাবিং করার পর ধুয়ে ফেলুন। আনারস আপনার স্কিনকে এক্সফলিয়েট করার সঙ্গে সঙ্গে স্কিনকে কোমল করে তোলে। অ্যান্টি-ইনফ্লামেটরি হিসেবে কাজ করে আনারস, যা ত্বকের ব্রণ সারাতেও সাহায্য করে।
ফেস মাস্ক হিসেবে :
তিন টেবিল চামচ আনারসের জুসের সঙ্গে একটি ডিমের কুসুম ও দুই টেবিল চামচ দুধ ভালোভাবে মিশিয়ে প্যাক তৈরি করুন। প্যাক মুখে লাগানোর আগে ভালোভাবে মুখ পরিষ্কার করে নিন। এরপর তিন থেকে পাঁচ মিনিট ম্যাসাজ করুন। তারপর ১৫ থেকে ২০ মিনিট রেখে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এ সময় সাবান ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন।
ভালো ফলাফল পেতে সপ্তাহে অন্তত দুই দিন এই ফেসপ্যাক ব্যবহার করুন।