করোনাকালে বাড়িতে বসে কাজ করার কারণে বাইরে খাবার আনিয়ে খাওয়ার প্রবণতা বেড়েছে। এজন্য পিৎজ্জা,পাস্তা,বার্গার, কোল্ড ড্রিংকসের ওপর নির্ভরতা বেড়েছে বেশি। কিন্তু চিকিৎসকরা বলছেন, এসব খাবার রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণের বাইরে নিয়ে যায়। আর হাইপারটেনশন মানুষকে মৃত্যুর মুখে ঢেলে দেয়।
হাই ব্লাড প্রেশার অর্থাৎ হাইপারটেনশানের সঙ্গে আর্টিরিয়ালস নামক এক ধমনীর সংযোগ রয়েছে। এই ধমনীই সারা দেহে রক্ত সঞ্চালনার কাজ করে। যখন এটি পাতলা হয়ে যায়, সেই সময় হৃদযন্ত্রকে রক্ত পাম্প করার জন্য বেশি পরিশ্রম করতে হয়। ফলে রক্তচাপে সমস্যা তৈরি হয়। চিকিৎসকদের মতে, উচ্চ রক্তচাপ নীরব ঘাতক। যখন তখন হুট করে বিপদ আসতে পড়ে। আর সঠিক চিকিৎসা না হলে তাহলে হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোকের মতো গুরুতর সমস্যা তৈরি হতে পারে। আর সবচেয়ে সমস্যা হলো রক্তচাপের উপসর্গ সহজে বোঝা যায় না।
উচ্চ রক্তচাপের নির্দিষ্ট কোনও উপসর্গ নেই। তবে, কিছু লক্ষণ দেখা দিতে পারে-
ঝাপসা দৃষ্টি- বিশেষজ্ঞদের মতে, হঠাৎ করে কেউ যদি চোখের সমস্যায় ভুগতে থাকেন বা দৃষ্টিতে সমস্যা বোধ করেন তাহলে আমার প্রেসার মাপিয়ে দেখুন। কারণ চোখে সমস্যা ব্লাড প্রেশারের সংকেত হতে পারে।
মাথার যন্ত্রণা- বিশেষজ্ঞদের মতে রক্তচাপ ১২০/৮০ থাকাটা স্বাভাবিক। আর রক্তচাপ যদি ১৮০/১২০ হয় তবে মাথায় যন্ত্রণা হবে।
নাক থেকে রক্তপড়া- উচ্চ রক্তচাপে অনেক সময় নাক থেকে রক্ত পড়তেও পারে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। সেক্ষেত্রে যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
শ্বাসকষ্ট- উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় হাঁটার সময় বা ভারি জিনিস তুলতে গেলে অথবা সিঁড়ি দিয়ে ওঠা নামার সময়ে শ্বাসকষ্ট হতে পারে। এ ক্ষেত্রেও সতর্ক হওয়া দরকার।
বুকে ব্যথা-বুকে ব্যথা, শ্বাসকষ্টের মতো সমস্যাও ব্লাড প্রেসার সংক্রান্ত সমস্যার ইঙ্গিত। যদি হঠাৎ খিঁচুনি বা শরীরের লাল দাগ দেখা যায়, তাহলে সেটিও হতে পারে এই সমস্যার উপসর্গ।
হঠাৎ পা ফুলে গেলে- হঠাৎ করে পা যদি ফুলে যায় তাহলে সেদিকেও নজর দেওয়া দরকার বলে মনে করেন চিকিৎসকরা। একইসঙ্গে যদি বমি ভাব বা অ্যাংজাইটির মতো সমস্যা থাকলেও সতর্ক থাকা উচিত।
উপরের যেকোন লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করা উচিত।