বিশ্বকাপ খেলতে না চাওয়া ক্রিকেটারটি কে?

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ থেকে দেশসেরা ওপেনার তামিম ইকবালের নাম প্রত্যাহারের ঘটনা নিয়ে অনেক জলঘোলা হয়েছে। তামিম ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে নিজের নাম প্রত্যাহার করে নেপালের ঘরোয়া লিগে খেলতে গিয়েছিলেন। কিন্তু একপর্যায়ে মিডিয়ার সামনে ফাঁস হয়ে যায়, টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহই নাকি চাননি, তামিম বিশ্বকাপে খেলুক। এবার বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের কথাতেও স্পষ্ট হলো সেই দ্বন্দ্বের কথা।

স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে পরাজয়ের পরদিন গতকাল সোমবার মিডিয়ার সামনে এসে বিসিবি সভাপতি বলেন, ‘একটা জিনিস আপনাদের বলতে পারি, তামিমের না খেলার ব্যাপারটা আপনারা জানার অনেক আগেই আমি জানি। এমনকি আমি জানতাম আরও একজন খেলবে না। এরকম তথ্যও আমার কাছে ছিল। কিন্তু সে খেলছে। আমার কথা হচ্ছে এগুলা মনের মধ্যে রাখার তো কিছু নেই। খেললে খেলবে না খেললে নাই। সোজা বলে দেবে। কিন্তু অভিমান করে বলে দেবে আমি খেলব না- এটা আমার কাছে গ্রহণযোগ্য না।’

তিনি আরও বলেন, ‘কার সাথে অভিমান? দেশের সাথে? এই দেশেই তো থাকছে সে। এই ধরণের আবেগের আমার কাছে কোনো জায়গা নেই। আমার কথা হচ্ছে কেউ খেলতে চাইলে খেলবে, না চাইলে খেলবে না। একটা খেলোয়াড়ের সাথে কোচের বা আরেক খেলোয়াড়ের সমস্যা থাকতেই পারে। এটা তাদের ব্যক্তিগত ব্যাপার। কিন্তু দেশের জন্য খেলার সময় তো সব ভুলে যেতে হবে। এখানে আবেগের কোনো জায়গা নেই। তখন আপনার মনে হবে আমি প্রমাণ করি আমিই সেরা। এখানে সব ভুলে সবাইকে সেরাটা দিতে হবে। এটা নিয়ে অনেক আলোচনা করেছি।’

পাপনের বক্তব্য নিয়েই দেশের ক্রিকেটাঙ্গনে গুঞ্জন শুরু হয়েছে, সেই দ্বিতীয় ক্রিকেটারটি কে? অনেকের মতে তিনি মুশফিকুর রহিম। কারণ নিউজিল্যান্ড সিরিজে তার হাত থেকে কিপিং গ্লাভস খুলে নেওয়া হয়েছিল। পরে সিরিজের মাঝেই মুশফিক আর কিপিং না করার ঘোষণা দেন। সেই রাগ থেকে হয়তো মুশফিক এমনটা ভাবতে পারেন বলে ধারণা অনেকের। যদিও শেষ পর্যন্ত তামিম ছাড়া আর কেউ সরে দাঁড়াননি। পাপনের চাওয়া, ব্যক্তিগত বিষয় ভুলে দেশের জন্য নিজেকে উজাড় করে দিবেন ক্রিকেটাররা।

LEAVE A REPLY