সুপার টুয়েলভে নিজেদের প্রথম ম্যাচে আগামীকাল রবিবার মুখোমুখি হচ্ছে বাংলাদেশ আর শ্রীলঙ্কা। প্রথম রাউন্ডের তিনটি ম্যাচের প্রতিটি জিতে শ্রীলঙ্কা সুপার টুয়েলভ নিশ্চিত করেছে। অন্যদিকে স্কটল্যান্ডের কাছে হেরে বাকি দুই ম্যাচ জিতে সুপার টুয়েলভে গেছে বাংলাদেশ। এখন পর্যন্ত দুই দলের ১১ ম্যাচে বাংলাদেশ জিতেছে ৪টি, হেরেছে ৭টি। সর্বশেষ দুই ম্যাচে অবশ্য জয়ের সুখস্মৃতি আছে টাইগারদের। সেটা হতে পারে বাড়তি প্রেরণা।
এটা সত্য যে বাংলাদেশ দলে টি-টোয়েন্টি মানের কোনো হার্ডহিটার নেই। হার্ডহিটার তৈরিতে বিসিবিরও তেমন কোনো আগ্রহ নেই। তাছাড়া দেশে ব্যাটিং সহায়ক উইকেটই নেই। শ্রীলঙ্কাও সারাবছর ঘূর্ণি সহায়ক উইকেটে খেললেও পরিস্থিতি এতটা খারাপ নয়। বিশ্বকাপে প্রথম রাউন্ডের তিন ম্যাচেই সেটা দেখা গেছে। নামিবিয়ার বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে ১৩.৩ ওভারে ৯৬ রান চেজ, আইরিশদের বিপক্ষে ১৭১ আর নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ৭.১ ওভারে ৪৪ রান চেজ করাই তার প্রমাণ।
অন্যদিকে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ব্যাটিং নিয়ে খুব ভূগেছে বাংলাদেশ। ১৪০ রানের জবাবে ১৩৪ এর বেশি করতে পারেনি। পরের ম্যাচে ওমানের বিপক্ষে ধীরগতির ব্যাটিংয়ে এসেছে ১৫৩ রান। তবে শেষ ম্যাচে পাপুয়া নিউগিনির সামনে টাইগাররা টার্গেট দেয় ১৮২ রানের। সেদিন হাত খুলে মেরেছিলেন লিটন-সাকিব-মাহমুদউল্লাহ এবং সাইফউদ্দিন। এই ধারা বজায় রাখতে পারলে কাল শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ভালো কিছু সম্ভব। ম্যাচটিতে বাংলাদেশ নামবে পূর্ণশক্তি নিয়ে। তবে চোটের কারণে শ্রীলঙ্কা দলে থাকছেন না রহস্য স্পিনার মাহীশ থিকশানা।
এর আগে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আসরে একবারই মুখোমুখি হয়েছিল বাংলাদেশ আর শ্রীলঙ্কা। ২০০৭ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে জোহানেসবার্গে অনুষ্ঠিত ম্যাচটিতে বাংলাদেশ হেরেছিল ৬৪ রানে। ১৪ বছর আগের সেই ম্যাচের একাদশ থেকে এবারের আসরে খেলছেন সাকিব আল হাসান, মাহমুদউল্লাহ এবং মুশফিকুর রহিম। তামিম ইকবাল থাকলে সংখ্যাটা চার হয়ে যেত। আগামীকালের ম্যাচের আগে বাংলাদেশের দুশ্চিন্তা থাকবে ওপেনিং জুটি নিয়ে। লিটন দাসকে অবশ্যই ধারাবাহিক হতে হবে। আর নাঈমকে খেলতে হবে টি-টোয়েন্টির স্ট্রাইক রেট ধরে রেখে।