অতিরিক্ত আপেল খাওয়া কি ঠিক?

শোনা যায় স্বর্গে এডাম আর ইভ যে নিষিদ্ধ ফল খেয়েছিলেন তা আসলে আপেল। অন্তত পাশ্চাত্যে এই ধারণার জনপ্রিয়তা বহুদিন ধরেই৷ তবু মর্ত্যে আপেলের কদর একটু বেশিই। বিশেষত বাংলাদেশেও আপেলের জনপ্রিয়তা অনেক৷ মূলত ফল হিসেবে আপেলের দাম সাধ্যের ভেতর থাকায় আপেল কেনাটা কঠিন না। তাই আপেল ভোগ করার ক্ষেত্রেও অনেকে ঠিক কার্পণ্য করেন না। রোজ একটি আপেল খেলে রোগবালাই পালিয়ে মরে। এই কথাটি তো বেশ জনপ্রিয়৷ হ্যাঁ, আপেলের মধ্যে অনেক গুণাগুণ আছে যা আপনার স্বাস্থ্যের প্রভূত উন্নয়ন সাধন করতে পারে। কিন্তু আপেলের উৎপাদন বাড়াতে গিয়ে এতে ব্যবহার করা হয় কীটনাশক। এই কীটনাশকই আপনার স্বাস্থ্যের ক্ষতি করে। আপেলের সাথে থাকা কীটনাশক আমাদের শরীরে যায়। এতে শরীরে নানাবিধ রোগ সংক্রমিত হতে পারে। আসুন জেনে নেই আমাদের কি কি সমস্যা হতে পারে-

  • কীটনাশক খাদ্যনালীর মাধ্যমে আমাদের অন্ত্রে আর পাকস্থলীতে প্রবেশ করে। এতে অন্ত্রের ভেতর গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাছাড়া অন্ত্রে গোলমাল, ক্যানসারের মতো ভয়ংকর রোগও সংক্রমিত হতে পারে। অনেক সময় মলদ্বারেও এই রাসায়নিক পদার্থ ক্ষতি করে।
  • কীটনাশক আমাদের শরীরে রক্তের সাথে মিশে যেতে শুরু করে। এতে রক্তে বিষাক্ত পদার্থের মাত্রা বাড়তে শুরু করে। ফলশ্রুতিতে শরীরে এক সময় বিষক্রিয়া হতেও পারে।
  • আপেল তাজা করতে বা চকচকে করতে অনেকে মোম বা পেট্রোলিয়াম জেলি ব্যবহার করেন। এসব উপাদান আমাদের পাকস্থলীর উপযোগী নয়। ফলে এসকল উপাদান আমাদের শরীরে প্রবেশ করে পেটের পীড়া ঘটায়।
  • আপেল শরীরে শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে ফেলে। তাছাড়া হজমের সমস্যাও বেশি আপেল খাওয়ার ফলে হয়।
  • দাঁতের মাড়ি দুর্বল হলে আপেল না খাওয়াই ভালো। অনেকেই আপেল খাওয়ার সময় লক্ষ্য করবেন কামড় দেয়ার পর সেখানে রক্ত লেগে আছে। তাই আপেল খেতে হলে প্রথমে চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করুন।

LEAVE A REPLY