সংখ্যা বাড়াতে নয়, জিততে এসেছে বাংলাদেশ

আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের গত পাঁচ আসরে মূল পর্বে জয় নেই বাংলাদেশের। মূল পর্বে টানা হারের ধকল বয়ে বেড়াচ্ছে টাইগাররা। এবার বড় সুযোগ ছিল শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সেই বৃত্ত ভাঙার। কিন্তু ক্যাচ মিসের ভুলে জয়ের সুযোগ হাতছাড়া হয়েছে। সুপার টুয়েলভ পর্বে বাকি ম্যাচগুলো বাংলাদেশের জন্য কঠিন চ্যালেঞ্জের মঞ্চ।

পেস বোলিং কোচ ওটিস গিবসন বলেছেন, সুপার টুয়েলভ পর্বে দলের সংখ্যা বাড়াতে আসেনি বাংলাদেশ। মূল মঞ্চে ম্যাচ জিততেই এসেছে টাইগাররা। তিনি বিশ্বাস করেন, নিজেদের দিনে বাংলাদেশ যেকোনো দলকে হারাতে পারে।

No description available.

সুপার টুয়েলভ পর্বে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে আজ (২৭ অক্টোবর) ইংল্যান্ডের বিপক্ষে খেলবে বাংলাদেশ। আবুধাবির শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে ম্যাচটি। বাংলাদেশ সময় বিকেল ৪টায় শুরু হবে ম্যাচ। এর আগে গতকাল স্থানীয় সময় বিকেলে দুবাই স্পোর্টস সিটির আইসিসি একাডেমি মাঠে অনুশীলন করেছে বাংলাদেশ দল। টাইগারদের পর ইংল্যান্ড দলও সেখানে অনুশীলন সেরেছে।

আন্তর্জাতিক ম্যাচ, বিশ্বকাপ মিলে টি-টোয়েন্টিতে কখনোই মুখোমুখি হয়নি বাংলাদেশ-ইংল্যান্ড। এই ফরম্যাটে আজই দুই দলের প্রথম সাক্ষাৎ হচ্ছে। ইংল্যান্ড দলটা এবার বিশ্বকাপের দাবিদার। তবে আইসিসির বৈশ্বিক আসরে ইংলিশদের বিপক্ষে বাংলাদেশের সুখস্মৃতি আছে। ২০১১ ও ২০১৫ ওয়ানডে বিশ্বকাপে তাদের হারিয়েছিল টাইগাররা। এবার টি-টোয়েন্টির প্রথম লড়াইটাও নিজেদের করে নিতে চায় মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দল।

No description available.

গতকাল ম্যাচ পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশের পেস বোলিং কোচ গিবসন বলেছেন, ‘আমরা এখানে এসেছি এই বিশ্বাস নিয়ে যে আমরা যেকোনো দলকে হারাতে পারি। আমাদের প্রথম রাউন্ড খুব কঠিন ছিল। একটু স্নায়ুক্ষয়ী ছিল। আমরা এখন বড় মঞ্চে এসেছি। কিন্তু আমরা এখানে সংখ্যা বাড়াতে আসিনি। আমরা বিশ্বাস করি নিজেদের দিনে আমরা যেকোনো দলকে হারাতে পারি।’

কোচিং ক্যারিয়ারে একটা সময় ইংল্যান্ড দলের বোলিং কোচ ছিলেন গিবসন। ইয়ন মরগানের নেতৃত্বাধীন দলটার অনেক ক্রিকেটারের সঙ্গে কাজ করেছেন এ ক্যারিবিয়ান কোচ। তাই ইংলিশ শিবির সম্পর্কে ভালো ধারণা আছে গিবসনের। যা টাইগারদের মধ্যেও ছড়িয়ে দিতে চেষ্টা করেছেন তিনি।

No description available.

গিবসন বলেছেন, ‘আমি আমাদের বোলার, ব্যাটারদের সঙ্গে কথা বলেছি। ইংল্যান্ডের বোলাররা সবসময় উইকেট তুলে নেওয়ার চেষ্টায় থাকে। ব্যাটাররাও রান করতে চায় সবসময়। তারা বোলারদের চাপে রাখে। সবার জন্য বার্তা হলো প্যানিক করা যাবে না। বুঝতে হবে যে আপনার ভালো বলেও মেরে দেবে। এটাই তাদের মানসিকতা। কিন্তু তারা আপনাকে সুযোগও দেবে উইকেট নেওয়ার। আমাদের শান্ত থাকতে হবে যাতে নিজেদের স্কিল, পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে পারি।’

ইংল্যান্ডের ব্যাটিং লাইনের বিপক্ষে বড় চ্যালেঞ্জে পড়তে হবে বাংলাদেশের বোলারদের। গিবসনের মতে, সেরা ক্রিকেটই খেলতে হবে বাংলাদেশকে। গতকাল তিনি বলেছেন, ‘আমরা জানি ইংল্যান্ডের ব্যাটিং লাইন খুব শক্তিশালী। আমাদের সেরা খেলাটা খেলতে হবে, যদি আমরা তাদের চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ম্যাচ জিততে চাই। আমরা গত রাতে টিম মিটিংয়ে এটা নিয়ে আলোচনা করেছি। আজকে (গতকাল) অনুশীলনে এসব নিয়ে কাজ করার সুযোগ পাব, বোলিং নিয়ে যা আলোচনা করেছি।’

মরগানরা সুযোগ দেবে, সেটি কাজে লাগানোর ওপর গুরুত্ব দিচ্ছেন গিবসন। তিনি বলেছেন, ‘মূল হলো বোলিংয়ে অ্যাকুরেট হতে হবে। আমরা জানি তারা কঠিনভাবে এগিয়ে আসবে। কিন্তু তারা সুযোগও দেবে। তারা ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৫৫ রান তুলতে ৪ উইকেট হারিয়েছে। আমাদের অবশ্যই সেরাটা দিতে হবে। কিন্তু আমরা জানি তারা আমাদেরকে উইকেট নেওয়ার সুযোগ দেবে।’

LEAVE A REPLY