চীনের হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষায় যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগ

চীনের হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন যুক্তরাষ্ট্র। ব্লুমবার্গ টেলিভিশনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে যুক্তরাষ্ট্রের জয়েন্ট চিফ অব স্টাফের চেয়ারম্যান জেনারেল মার্ক মিলি বলেছেন, চীনের হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষাকে প্রযুক্তির তাৎপর্যপূর্ণ উৎকর্ষসাধন ঘটনা এবং খুব উদ্বেগের।

মার্ক মিলি বলেন, আমি সঠিক বলতে পারছি না এটা স্পুটনিক মোমেন্ট কী না, কিন্তু আমি মনে করি এটা তার নিকটবর্তী। এ সময় তিনি চীনের এই পরীক্ষাকে খুবই উদ্বেগজনক ঘটনা হিসেবে বর্ণনা করেন।

চলতি বছরের আগস্টে চীন পারমাণবিক অস্ত্র বহনে সক্ষম হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করে বলে দাবি করে সংবাদমাধ্যম ফিন্যান্সিয়াল টাইমস। তাদের খবরে বলা হয়, ওই ক্ষেপণাস্ত্রটি পৃথিবীর কক্ষপথে পরিভ্রমণের পর ভূপৃষ্ঠে নেমে আসে। তবে সেটি নির্ধারিত লক্ষ্যে আঘাত হানতে পারেনি। যদিও এ ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার কথা নাকচ করেছে চীন। দেশটি দাবি করেছে, তারা মহাকাশে পুনরায় ব্যবহারযোগ্য যান পাঠিয়েছে।

তবে এই পরীক্ষা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ স্বীকারোক্তি হলো জেনারেল মার্ক মিলির এই মন্তব্য। তিনি এই মন্তব্য সোভিয়েত ইউনিয়নের মহাকাশে পাঠানো স্পুটনিক মাহকাশযানের তাৎপর্যের সঙ্গে তুলনা করতে চাননি। বরং তার এই মন্তব্য ছিল হাইপারসোনিক অস্ত্র নিয়ে পেন্টাগনের উদ্বেগের গভীরতার প্রকাশ।

চীন যদি প্রযুক্তি নিখুঁত করতে পারে তাহলে বেইজিং যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা পারমাণবিক ওয়্যারহেড দিয়ে ধ্বংস করতে পারবে। রেথিওন টেকনোলজিস করপোরেশনের সিইও গ্রেগরি হায়েস বলেছেন, হাইপারসোনিক প্রযুক্তি উদ্ভাবনে চীনের অন্তত বেশ কয়েক বছর পিছিয়ে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

প্রসঙ্গত, ভয়াবহ চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হওয়াকে ‘স্পুটনিক মোমেন্ট’ বলা হয়। স্পুটনিক-১ বিশ্বের প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহ যা ১৯৫৭ খ্রিস্টাব্দের অক্টোবর ৪ তারিখে উৎক্ষেপণ করা হয়। তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন এটি উৎক্ষেপণ করে। স্পুটনিক ১-এর মহাকাশে প্রেরণের মাধ্যমে মহাকাশ যুগের সূচনা হয়।

LEAVE A REPLY