খালেদাকে বিদেশে নিতে কোকোর স্ত্রীর দৌড়ঝাঁপ

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে বিদেশে উন্নত চিকিৎসা করানোর জন্য একাধিকবার উদ্যোগ নেওয়া হলেও সাজাপ্রাপ্ত আসামি হওয়ায় বিদেশে যাওয়ার সুযোগ হয়নি তার। এমন অবস্থায় শাশুড়িকে বিদেশে নেওয়ার জন্য সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করছেন তার ছোট ছেলে প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী শর্মিলা রহমান। বিএনপির দলীয় সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

সূত্র জানায়, করোনা পরবর্তী অসুস্থতার কারণে ৫৩ দিন রাজধানীর এভার কেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়ার পর গত ১৯ জুন বাসায় নেওয়া হয় খালেদা জিয়াকে। আবার অসুস্থতা ও পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য গত ১২ অক্টোবর এভার কেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে। ২৪ অক্টোবর রাতে যুক্তরাজ্য থেকে দেশে আসেন কোকোর স্ত্রী শর্মিলা রহমান। বিমানবন্দর থেকে সরাসরি চলে যান এভার কেয়ার হাসপাতালে। পরের দিন খালেদা জিয়ার ছোট একটি অস্ত্রোপচার হয়। তার শরীরে একটি ছোট চাকা হওয়ায় অস্ত্রোপচার করে সেটি অপসারণ করা হয়। একই সঙ্গে ওই অংশে ক্যান্সারের কোনো জার্ম আছে কি না, সেটা পরীক্ষার জন্য বায়োপসি করতে দেওয়া হয়েছে।এ বিষয়ে তার চিকিৎসক ডা. এজেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসনের শরীরে একটি লাম্প (ছোট চাকা/স্ফীত অংশ) দেখা দেওয়ায় সেটি কেটে বায়োপসি করতে দেওয়া হয়েছে। বায়োপসি রিপোর্ট পেতে তিন থেকে ১৫ দিন লাগতে পারে। এটি দেশে এবং দেশের বাইরে পরীক্ষা করা হচ্ছে।

এদিকে, শাশুড়িকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নিতে নতুন করে সরকারের সঙ্গে দেন দরবার করছেন কোকোর স্ত্রী। এ বিষয়ে বিএনপি কিংবা তার চিকিৎসক টিমের কেউ মিডিয়ায় কথা বলতে রাজি নন। এমনকি খালেদা জিয়ার মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান গণমাধ্যমকে বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না।

তবে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, খালেদা জিয়াকে লন্ডন, আমেরিকায় না হোক সিঙ্গাপুর হলেও নিতে চায় তার পরিবার। সে ক্ষেত্রে সরকারের নির্বাহী আদেশ ছাড়া এটা কোনোভাবেই সম্ভব নয়। হাইকোর্টে জামিন পেতে ব্যর্থ হওয়ার পর প্রধানমন্ত্রীর নির্বাহী আদেশেই কারাগার থেকে বাসায় থাকছেন খালেদা জিয়া। সুতরাং বিদেশে যেতে হলেও তাকে সরকারের বিশেষ আদেশেই যেতে হবে।

খালেদা জিয়ার একজন চিকিৎসক জানিয়েছেন, ছোট ধরনের অস্ত্রোপচারের পর খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা ভালো আছে। তিনি মুখে খাবার খেতে পারছেন। তার জ্বরও কমেছে। তবে তার স্বাস্থ্যগত পুরনো সমস্যাগুলো এখনও রয়েই গেছে।

তার বোন সেলিমা ইসলাম বলেন, চিকিৎসকরা উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নিতে বলেছেন। সেজন্য সরকারের কাছে বার বার আবেদনও করেছি। কিন্তু সরকার অনুমতি না দিলে আমাদের তো কিছু করার নেই।

সূত্র : বাংলানিউজ

LEAVE A REPLY