শারজাহ স্টেডিয়ামকে দুরন্ত এক লড়াই উপহার দিয়েছে বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ক্রিকেটীয় রোমাঞ্চে ঠাসা ম্যাচের ফলাফল এসেছে শেষ বলে। বাংলাদেশের জন্য হতাশার যে শেষ অব্দি জয়ের তরী তীরে বেড়ানো যায়নি। ৩ রানের রুদ্ধশ্বাস জয়ে মাঠ ছেড়েছে ক্যারিবিয়ানরা।
ম্যাচের শেষ দিকে চলছিল ক্ষণ গণনার মতোই রান-বলের সমীকরণে চোখ রাখা। জয়ের জন্য ২৪ বলে ৩৩, ১৮ বলে ৩০, ১২ বলে ২২ ও ৬ বলে ১৩ রান দরকার ছিল বাংলাদেশের। শেষ বলে ৪ রান দরকার হলেও অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ আন্দ্রে রাসেলের বলটাতে ব্যাটই ছোঁয়াতে পারেননি।
ম্যাচ শেষে তিনি বলেছেন, উইন্ডিজদের স্কোরটা ১০ রান কম হলে হয়তো ভিন্ন গল্প লেখা যেত। এই আক্ষেপই ঝরেছে অধিনায়কের কণ্ঠে। আগে ব্যাট করে বাংলাদেশের বোলিংয়ের চাপ ঠেলেই ১৪২ রান তুলেছিল ক্যারিবিয়ানরা। বাংলাদেশ ১৩৯ রানের বেশি তুলতে সমর্থ হয়নি।
মাহমুদউল্লাহ বলেছেন, ‘উইকেট কিছুটা কঠিন ছিল আমরা দেখেছি, যখন আমরা বোলিং শুরু করেছিলাম যখন ব্যাক অব লেন্থে বোলিং করা হচ্ছিল উইকেটে ওইভাবে খুব একটা বল ব্যাটে আসছিল না, বাউন্স কিছুটা লো ছিল আমরা বুঝতে পেরেছিলাম। তো আমরা ওভাবেই বোলিং করছিলাম। আমাদের বোলাররা ভালোই বোলিং করেছিল। কিন্তু যে দুইটা সুযোগ এসেছিল সেগুলো যদি নিতে পারতাম সম্ভবত ১০টা রান কম হত। আমাদের জন্য চেজটা কম হতো। চেষ্টা করেছি, টি টোয়েন্টি খেলায় এমন মার্জিন হয়। কিন্তু জিততে পারিনি।’
গতকালও মেহেদী ২টি ও আফিফ ১টি ক্যাচ ফেলেছেন। স্ট্যাম্পিং মিস করেন লিটন। যার সুযোগেই বড় জুটি গড়েন পুরান ও চেজ। সংবাদ সম্মেলনে এমন মিসের প্রসঙ্গ তুলতেই মাহমুদউল্লাহকে অসহায় মনে হলো। তার মতে, আফিফের মতো ফিল্ডার ক্যাচ মিস করলে কিছু করার থাকে না।
মাহমুদউল্লাহ বলেছেন, ‘এরকম গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচগুলোতে বিশেষ করে দলের যারা সেরা ফিল্ডার ক্যাচ মিস করে অনেক সময়, কেউতো আর ইচ্ছে করে করে না। কিন্তু আমরা প্রত্যাশা করি যে, ওরা সুযোগগুলো নেবে। কিন্তু যেহেতু ধারাবাহিকভাবে ওই ভুলগুলো হচ্ছে, ম্যাচ বাই ম্যাচ অবশ্যই এটা একটা চিন্তার বিষয়।’
রানের খরায় ছিলেন লিটন দাস। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তিনে নেমে রান পেলেন বটে। একপ্রান্ত আগলে খেলেছেন ৪৩ বলে ৪৪ রানের ইনিংস। এতগুলো বল খেলার পর তার স্ট্রাইক রেটটা (১০২.৩২) আরও বেশি হতে পারতো। ১৯তম ওভারের শেষ বলে সর্বশক্তিতে মেরেও ক্লান্ত লিটন বাউন্ডারি পার করতে পারেননি।
তবে অসীম সাহসিকতায় নিজের সবটুকু নিংড়ে দিয়ে লড়েছেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। ম্যাচের অন্তিম বলে প্রয়োজনীয় ৪ রান তুলতে পারেননি তিনি। ২৪ বলে অপরাজিত ৩১ রান করেও হারের বিষাদ নিয়ে ফিরতে হয়েছে তাকে।