বলিউড অভিনেতা সাইফ আলি খান এবং অমৃতা সিংহের। এক সময়ের তুমুল প্রেম গড়ায় প্রবল তিক্ততায়। অবশেষে ২০০৪ সালে বিচ্ছেদ। সংবাদমাধ্যমের কাছে সেই কঠিন সময় নিয়ে মুখ খুললেন এই তারকা-জুটির বড় মেয়ে সারা আলি খান। অভিনেত্রীর মতে, তার মা-বাবা একসঙ্গে সুখে ছিলেন না। আলাদা হয়ে যাওয়ার পর বরং শান্তিতে কাটছে দু’জনের।
সারার কথায়, ‘একই বাড়িতে দু’জন মানুষের সঙ্গে থাকা, যারা একসঙ্গে সুখে
নেই। তার পরে তাদের বাড়ি আলাদা হয়ে গেল, দু’জনেই নতুন করে হাসতে শুরু
করলেন। তা হলে সেই দু’জন মানুষকে একসঙ্গে থাকতে বলব কেন?’ মা-কে ১০ বছর
হাসতে দেখেননি সারা। কিন্তু সইফের সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদের পরে অমৃতা অনেক
বেশি প্রাণোচ্ছ্বল। এমনই বলছেন অভিনেত্রী-কন্যা। খবর আনন্দবাজার পত্রিকার।
২০০৪ সালের পর থেকে মেয়ে সারা এবং ছেলে ইব্রাহিমের সঙ্গে আলাদা বাড়িতে
থাকেন অমৃতা। মায়ের সঙ্গে দুই ছেলে-মেয়ে বেড়াতে যান দেশের বিভিন্ন জায়গায়।
তিন জনের সে সব সুন্দর সময়ের ছবিতে ঠাসা সারা-ইব্রাহিমের ইনস্টাগ্রাম।
সারার কথায়— অমৃতা এখন মশকরা-রসিকতায় মাতেন, ছেলেমেয়ের সঙ্গে হেসেখেলে সময়
কাটান। সইফের সঙ্গে থাকাকালীন এই অমৃতাই যেন হাসতে ভুলে গিয়েছিলেন!
সইফ আলি খানের সঙ্গে অমৃতার যখন বিচ্ছেদ হয়, সারার বয়স তখন মাত্র ৯। এর পর মায়ের কাছে থেকে, তার আদর্শেই ধীরে ধীরে বেড়ে ওঠেন অভিনেত্রী। তাই অমৃতাকে ঘিরেই আবর্তিত সারার জীবন। সইফ বলিউড তারকা করিনা কাপুরকে দ্বিতীয় বিয়ে করলেও অমৃতা একাই থেকেছেন তার সন্তানদের সঙ্গে।