নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ বাড়াতে চায় যুক্তরাষ্ট্র-চীন, বৈঠক শেষে বার্তা

প্রথমবারের মতো করা ভার্চুয়াল বৈঠক শেষ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও চীনা প্রেসিডেন্ট শি চিন পিং। তাইওয়ান, বাণিজ্য, মানবাধিকার নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা বাড়তে থাকায় এই বৈঠকের আয়োজন করা হয়।

বাইডেন বলেন, নিজেদের মধ্যকার প্রতিদ্বন্দ্বিতা যেন সংঘাত সৃষ্টি না করে তা নিশ্চিত করার দায়িত্ব দুদেশেরই রয়েছে। মঙ্গলবারের বৈঠক ছিল বাইডেন ক্ষমতা নেওয়ার পর থেকে দুই দেশের মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য একটি বৈঠক। চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মুখপাত্র হুয়া চুনইং বৈঠককে গঠনমূলক উল্লেখ করে বলেন, এটি পারস্পরিক বোঝাপড়া বাড়াতেও সাহায্য করবে।

বৈঠকে যা আলোচনা হয়েছে :

দুই নেতা একে অপরকে সাদরে গ্রহণের মাধ্যমে বৈঠক শুরু হয়। চীনা প্রেসিডেন্ট বলেন, তিনি তার পুরনো বন্ধু বাইডেনকে দেখতে পেয়ে খুশি। এর উত্তরে বাইডেন বলেন, যদিও আমার আনুষ্ঠানিকভাবে বৈঠক শুরু করা উচিত; কিন্তু আমাদের সম্পর্ক সব সময় বন্ধুত্বপূর্ণ ছিল। শি চিন পিং বলেন, আমাদের দুদেশেরই যোগাযোগ উন্নত করা দরকার এবং যেকোনো চ্যালেঞ্জ যেন একসঙ্গে মোকাবেলা করা যায় সে ব্যবস্থাও গ্রহণ করা দরকর। তিনি আরো বলেন, বিশ্বের চ্যালেঞ্জগুলো, বিশেষ করে জলবায়ু পরিবর্তন, করোনা মোকাবেলা করার জন্য আমাদের সুসম্পর্ক দরকার।  বাইডেনকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, দুই দেশের সম্পর্ককে ইতিবাচক দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে আমি প্রস্তুত।

গেল কয়েক বছরে বিভিন্ন ইস্যুতে দুই দেশের মধ্যে সংঘাত বেড়েই চলেছে, তা কমানোই ছিল এই বৈঠকের লক্ষ্য।

LEAVE A REPLY