কুমিল্লার হোমনায় নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের সঙ্গে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষ, ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় উভয় পক্ষের অন্তত দশজন আহত হয়েছেন। সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার মাথাভাঙ্গা ইউনিয়নের সিনাই এলাকায় এসব ঘটনা ঘটেছে। আহতরা হলেন- সোহাগ ফকির, রাসেল মোল্লা, নাজিম আহমেদ, পলাশ মুন্সি, আমান উল্লাহ, দিদার হোসেন, পিয়ার আলীসহ অন্তত দশজন।নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার মাথাভাঙ্গা ইউনিয়নের ভৈরব উচ্চ বিদ্যালয়ে বৃহস্পতিবার বিট পুলিশের সভা ছিলো। দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম তাঁর কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে ভৈরব উচ্চ বিদ্যালয়ে যাওয়ার পথে সিনাই এলাকায় অবস্থানরত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী নাজিউর রহমান ভূঁইয়ার নির্বাচনী অফিস অতিক্রমকালে দুই পরে মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। এক পর্যায়ে তারা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও ইট-পাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। এতে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
নৌকা প্রতীকের প্রার্থী নাজিউর রহমান ভূঁইয়া জানান, স্বতন্ত্র প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম বহিরাগত লোকজন নিয়ে আমার সিনাই অফিসে নেতাকর্মী ও সমর্থকদের উপর হামলা করেছে। এতে আমার ৬/৭জন নেতাকর্মী আহত হয়েছে। পরিকল্পিতভাবে এই হামলা চালিয়েছে তাঁরা।
তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করে জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আমরা সভায় যাওয়ার সময় নৌকার প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকরা আমাদের উপর হামলা করেছে। এতে আমাদের বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে।
হোমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল কায়েস আকন্দ জানান, প্রচারণা চালানোকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর সমর্থকদের সাথে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় তেমন কউ আহত হয়নি। পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।