বাবর-রিজওয়ানের স্টাম্প উড়ালেন তাসকিন-মোস্তাফিজ

পাকিস্তানের বিখ্যাত জুটি বাবর আজম আর মোহাম্মদ রিজওয়ান। এই দু’জনের ব্যাটে বিশ্বকাপে উড়েছিল পাকিস্তান। এই ওপেনিং জুটিকে থামিয়ে দিয়েছে মোস্তাফিজ তাসকিন।

তৃতীয় ওভারের ৪র্থ বলেই জুটি ভেঙে দেন তিনি। মোস্তাফিজের দুর্দান্ত ডেলিভারিতে রিজওয়ানের স্ট্যাম্প উড়ে যায়। ১১ বলে ১১ রান করে ফিরে যান পাকিস্তানের এই দুর্ধর্ষ টি-টোয়েন্টি ব্যাটার।

এরপর চতুর্থ ওভারের শেষ বলে বাবর আজমের স্ট্যাম্পও উড়িয়ে দিলেন তাসকিন আহমেদ।

এর আগে, মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিং বেছে নেয় বাংলাদেশ। করোনা পরবর্তী সময়ে বহুদিন পর মিরপুরে ফিরেছে দর্শক। ঘরের মাঠে দর্শকদের সাথে নিয়েও ব্যাটিংয়ে সুবিধা করতে পারেনি বাংলাদেশ। দলীয় ৩ রানে  হাসান আলীর বলে উইকটকিপার রিজওয়ানের গ্লাভসবন্দি হন মোহাম্মদ নাঈম (৩ বলে ১)। হুট করে সুযোগ পাওয়া আরেক ওপেনার সাইফ হাসানও ১ রান করে ফিরেন মোহাম্মদ ওয়াসিমের বলে ফখর জামানের হাতে ক্যাচ দিয়ে।

দলের ধসের শুরুটা হয় এভাবেই। নাজমুল হাসান শান্ত আজও সমালোচনার জবাব দিতে পারেননি। আউট হয়েছেন ১৪ বলে ৭ রান করে। তাকে কট অ্যান্ড বোল্ড করে দেন ওয়াসিম। ১৫ রানে ৩ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। এরপর আফিফ হোসেনকে নিয়ে জুটি গড়ার চেষ্টা করেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ। কিন্তু সেই চেষ্টা ব্যর্থ হয়। রিয়াদ ১১ বলে ৬ রান করে মোহাম্মদ নেওয়াজের বলে বোল্ড হন। ৪০ রানে ৪ উইকেটের পতন। বাংলাদেশের ইনিংসের অর্ধেক শেষ হয় আফিফ হোসেনের বিদায়ে। শাদাব খানের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেওয়ার আগে আফিফ ৩৪ বলে ২ চার ২ ছক্কায় করেন ৩৬ রান।

বিশ্বকাপে ব্যর্থ নুরুল হাসান সোহানও বেশ হাত খুলে মারার চেষ্টা করেছিলেন। শাদাব খান এবং ওয়াসিমের বলে দুটি ছক্কাও মারেন। তার ইনিংস যখন আশা জাগাচ্ছে, তখন ফের ছন্দপতন। ২২ বলে ২ ছক্কায় ২৮ রান করা সোহানকে রিজওয়ানের গ্লাভসবন্দি করেন হাসান আলী। ১৭তম ওভারে দলীয় ৯৬ রানে ৬ষ্ঠ উইকেটের পতন। আমিনুলকে (২) বোল্ড করে দেন হাসান আলী। শেষের দিকে শেখ মেহেদি ২০ বলে ১ চার ২ ছক্কায় ৩০ রান করে বড় অবদান রাখেন। তাসকিনও ইনিংসের শেষ বলে ছক্কা মেরে দলের স্কোরকে ১২৭ এ পৌঁছে দেন।

LEAVE A REPLY