ব্যবহারকারীদের যেকোনো তথ্য ব্যবহারের সুযোগ পাবে ফেসবুক। সম্প্রতি এমন একটি গুজব ছড়িয়ে পড়েছে। অনেকে ইতোমধ্যে ফেসবুককে দোষারোপ করা শুরু করেছেন। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে এটি গুজব। আর এতে বিভ্রান্ত না হওয়ার বার্তা দিয়েছে ফেসবুক।
গুজব উঠেছে, ফেসবুকের মূল প্রতিষ্ঠান মেটা তাদের নীতিমালা হালনাগাদ করেছে এবং এর অধীনে থেকেই তারা ব্যবহারকারীর অ্যাকাউন্টের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেবে। এমনকী মেসেঞ্জারে একান্ত ব্যক্তিগত তথ্য মুছে ফেললেও অনুমতি ছাড়াই ব্যবহার করতে পারবে তারা। এ প্রসঙ্গে ফেসবুকের ভাষ্য হলো, এটি নিছকই গুজব। ২০২০ সালেও এমন গুজব ছড়ানো হয়েছিল।
বাংলাদেশ, থাইল্যান্ড, যুক্তরাষ্ট্র, নিউজিল্যান্ড, ইথিওপিয়া ও সিঙ্গাপুরসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশেই ব্যাপকভাবে এ গুজব ছড়িয়ে পড়েছে বলে জানা গেছে।
ফেসবুকের কমিউনিকেশনস ম্যানেজার মানাশুয়েন কোবাপিরাত বলেন, কোনো দেশ বা ভাষাভাষীর মানুষের জন্য ফেসবুক নীতিমালা পরিবর্তন করেনি। তাই এ প্রসঙ্গে আসা খবরগুলো অসত্য। ব্যবহারকারী যেকোনো সময় তাদের ‘প্রাইভেসি সেটিংস’ দেখে প্রয়োজন অনুযায়ী তাতে পরিবর্তন করতে পারেন। একই সঙ্গে ‘প্রাইভেসি চেকআপ’ টুল ব্যবহার করে তাদের শেয়ার করা পোস্ট কে কে দেখতে পাবেন, কীভাবে তা শেয়ার করা যাবে এবং কীভাবে অ্যাকাউন্টের নিরাপত্তা শক্তিশালী করা যাবে- সে ব্যাপারটিও নির্ধারণ করতে পারবেন।
একই সঙ্গে ফেসবুকের এ কর্মকর্তা গুজবের ব্যাপারে সাবধান হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি বলেন, কোনো স্বার্থান্বেষী মহল যেন এমন গুজবকে ব্যবহার করে ব্যবহারকারীর তথ্য চুরি করতে না পারেন। ফেসবুকের পরিচিত ডোমেইন ছাড়া ই-মেইলে ফেসবুকে নামে আসা যেকোনো লিংকে ক্লিক করা থেকে বিরত থাকতে হবে। ডি- এইচএ