নাগাল্যান্ডে নিরাপত্তা বাহিনীর ‘ভুল’ অভিযানে ১৪ নাগরিক নিহত

‘ভুল করে’ সন্ত্রাসবাদী ভেবে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে নিহত হলেন অন্তত ১৪ জন গ্রামবাসী। উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্য নাগাল্যন্ডের মন জেলায় ওটিং গ্রামে শনিবার গভীর রাতে সন্ত্রাসদমন অভিযান চালানোর সময় নিরাপত্তাবাহিনী গুলি চালায় বলে অভিযোগ। তাতেই মারা যান গ্রামবাসীরা। পুলিশ জানিয়েছে, এ ঘটনায় এক জওয়ানেরও মৃত্যু হয়েছে। গ্রামটি মিয়ানমার সীমান্তে অবস্থিত।

সাধারণ নাগরিকদের হত্যার ঘটনার তীব্র নিন্দা প্রকাশ করলেন  নাগাল্যান্ডের মুখ্যমন্ত্রী নেফিউ রিও। সেইসঙ্গে উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।রবিবার সকালে নাগাল্যান্ডের মুখ্যমন্ত্রী টুইটারে বলেন, ‘মনের ওটিঙে যে দুর্ভাগ্যজনক ঘটনায় সাধারণ নাগরিকদের মৃত্যু হয়েছে, তা অত্যন্ত নিন্দনীয়। মৃতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি এবং আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি। উচ্চপর্যায়ের বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) তদন্ত করবে এবং আইন মোতাবেক বিচার পাবেন মানুষ। সমাজের সব শ্রেণির মানুষের কাছে শান্তির আবেদন জানাচ্ছি।’ 

সেই ঘটনায় শোকপ্রকাশ করে ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ টুইটারে লেখেন, ‘নাগাল্যান্ডের মনের ওটিঙের দুর্ভাগ্যজনক ঘটনায় শোকাহত। মৃতদেক পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি। রাজ্য সরকার সিট গঠন করেছে। পুরো ঘটনার বিস্তারিত তদন্ত করবে, যারা প্রাণ হারিয়েছেন, তাদের পরিবার যাতে সুবিচার পায়।’

কী হয়েছিল ঘটনাটা? একাধিক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, মন জেলায় ‘ভুলবশত’ সাধারণ নাগরিক হত্যার অভিযোগ উঠেছে নিরাপত্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে। তিরুর একটি কয়লা খাদান থেকে পিক-আপ ভ্যানে করে তারা নিজেদের গ্রামে ফিরছিলেন। সেই সময় গাড়ি লক্ষ্য করে নিরাপত্তা বাহিনী গুলি চালায় বলে অভিযোগ। যে বাহিনী সন্ত্রাস-বিরোধী অভিযান চালাচ্ছিল। ওই পিক-আপ ভ্যানে ন্যাশনাল সোশালিস্ট কাউন্সিল অফ নাগাল্যান্ডের (এনএসসিএন) বিচ্ছিন্নতাবাদীরা ছিল বলে মনে করেছিল নিরাপত্তা বাহিনী। 

পুলিশের বরাতে আনন্দবাজার পত্রিকার খবরে বলা হয়েছে, সন্ত্রাস রুখতে তিরু-ওটিং রোডে অভিযান চালায় নিরাপত্তা বাহিনী। সেই সময় স্থানীয় গ্রামবাসীদের প্রতিরোধের মুখে পড়ে নিরাপত্তাবাহিনী গুলি চালাতে শুরু করে। গুলিতে গ্রামবাসীরা মারা যেতে উত্তেজনা বাড়ে। পুলিশের দাবি, ‘আত্মরক্ষার’ জন্য গুলি চালাতে হয়েছে নিরাপত্তা বাহিনীকে। বাহিনীর কয়েকটি গাড়িও পুড়িয়ে দেওয়া হয়।

সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস, রয়টার্সআনন্দবাজার পত্রিকা

LEAVE A REPLY