পাকিস্তানে চার নারীকে বিবস্ত্র করে মারধর করার অপরাধে গ্রেপ্তার ৫

পাকিস্তানের পাঞ্জাবে ফয়সালাবাদ বাওয়া চক মার্কেটে চার নারীকে বিবস্ত্র করে মারধর ও ভিডিও করার অপরাধে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ফয়সালাবাদ সিটি পুলিশ অফিসার ড. মোহাম্মদ আবিদ খান পাকিস্তানি সংবাদ মাধ্যম ডনকে জানান, অন্য অপরাধীদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে এবং তাদের কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে।

সোশ্যাল মিডিয়ায় ওই চার নারীর ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর বিষয়টি সামনে আসে। এর পরপরই মিল্লাত থানায় চারজনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করা হয়। তারা হলেন- উসমান ইলেকট্রিক স্টোরের মালিক সাদ্দাম, তার কর্মচারী ফয়সাল, জাহির আনোয়ার এবং স্টেশনারি দোকানের মালিক ফকির হুসেইন। এ ছাড়া এ মামলায় আরো ১০ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। পাকিস্তানের প্যানেল কোডের ৩৫৪-এ, ৫০৯, ১৪৭ ও ১৪৯ ধারায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

থানায় দায়ের করা এফআইআর থেকে জানা যায়, সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ময়লা সংগ্রহ করতে এক নারী সঙ্গে করে তিন নারীকে নিয়ে বাওয়া চক মার্কেটে যান। একপর্যায়ে তাদের পানির পিপাসা পেলে উসমান ইলেকট্রিক স্টোর নামে একটি দোকানে যায় তারা এবং এক বোতল পানি চায়। কিন্তু দোকানের মালিক সাদ্দাম তাদেরকে চোর হিসেবে অভিযুক্ত করে চিল্লাতে থাকে। এতে আশপাশের অনেক দোকানি ও কর্মচারী জড়ো হন।

পরে সবাই মিলে ওই চার নারীকে মারধর শুরু করেন এবং একপর্যায়ে তাদের বিবস্ত্র করা হয়। অভিযুক্ত এক নারী জানান, ‘তারা আমাদের ঘণ্টাখানেক ধরে মারধর করতে থাকে এবং আমাদের বিবস্ত্র করে ভিডিও করে।’

পরে ভুক্তভোগীদের স্বজনরা বাজারে এসে পৌঁছে এবং জড়ো হওয়া পথচারীরা নারীদের কাছে যেতে দেওয়ার জন্য চাপ দেয়।

পাঞ্জাব পুলিশ এক টুইট বার্তায় জানায়, ‘সোমবার রাতে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং বাকি তিনজনকে মঙ্গলবার। ঘটনার সঙ্গে জড়িত সবাইকে নিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে।’

LEAVE A REPLY