মিমি-নুসরাতে ক্ষুব্ধ তৃণমূল, কি করলেন তারা

সংসদীয় দলের বৈঠকে হাজির না থাকার কারণে তৃণমূল সাংসদ মিমি চক্রবর্তী ও নুসরাত জাহানের উপর তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব যে ক্ষুব্ধ, সেই খবর ইতিমধ্যেই প্রকাশ্যে এসেছে। শুধু বৈঠকে গরহাজিরাই নয়, সংসদে অবস্থান বিক্ষোভেও নেই মিমি-নুসরাতরা। আর তাই এবার পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে দুই তারকা সাংসদের বিরুদ্ধে।

এই সংক্রান্ত শোকজ নোটিশ যে ইতিমধ্যেই দুই জনকে পাঠানো হয়েছে, তা জানিয়েছেন তৃণমূলের এক সাংসদ। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সেই তৃণমূল সাংসদ জানান, তাদের বিরুদ্ধে বড়সর পদক্ষেপের কথাও ভাবা হচ্ছে।

সাংসদদের সাসপেন্ড করার ঘটনায় সংসদে প্রতিবাদ জানাতে নিজের সূচি বদলেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তবে যাদবপুরের সাংসদ মিমি চক্রবর্তী এবং বসিরহাটের সাংসদ নুসরাত জাহানকে সেই অর্থে দেখা যায়নি সংসদের সেই প্রতিবাদে। এরপরই দুই সাংসদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার ইঙ্গিত মিলেছিল তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে।

তৃণমূল সূত্রের খবর, এই মুহূর্তে এই দুই তারকা সাংসদের কাজকর্ম নিয়ে খুশি নয় তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব। তবে তাদের শুধরানোর জন্য সময় দিতে চাইছে দল। যদি এরপরও তারা সংসদের কার্যক্রমে নিয়মিত অংশগ্রহণ না করেন, সেই ক্ষেত্রে দলের তরফে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে বলে জানা গিয়েছে।

এর আগে তৃণমূলের সব সাংসদের নিয়ে দিল্লিতে এক বৈঠক করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই বৈঠকেই সাংসদদের জন্য নিয়মবিধি বেঁধে দিয়েছেন তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড। সেই বৈঠকেও মিমি-নুসরাতরা অনুপস্থিত ছিলেন। সংসদের শীতকালীন অধিবেশনের বাকি দিনগুলিতে দলের গতিপ্রকৃতি কী হবে সেই সংক্রান্ত পরিকল্পনা তৈরির গুরুত্বপূর্ণ সেই বৈঠকে দুই তারকার গরহাজিরা ভালো ভাবে নেয়নি শীর্ষ নেতৃত্ব।

এরপরই অনুপস্থিতির কারণ দর্শাতে বলা হয় মিমি ও নুসরতকে। কী কারণে তারা অনুপস্থিত ছিলেন তা খতিয়ে দেখবে দল। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ইতিমধ্যেই স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে দলের সব সাংসদের জন্য একই নিয়ম প্রযোজ্য হবে। তারকা বলেই যে আলাদা কোনও ছাড় মিলবে না, মিমি-নুসরাতকে শো-কজের মাধ্যমে যেন সেই বার্তা দিয়েছেন তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব। এসআর

LEAVE A REPLY