বিমানবন্দরে নামার পরই আমাদের হাতে ব্যান্ড পরিয়ে দেওয়া হয়েছে: সুজন

পূর্বনির্ধারিত সফরসূচিতে আগামীকাল অনুশীলন করার কথা, কিন্তু সেটি হচ্ছে না। ক্রাইস্টচার্চে রুম কোয়ারেন্টিনের মেয়াদ যে বেড়েছে বাংলাদেশ দলের বেশির ভাগ সদস্যের। ব্লু রিস্ট ব্যান্ড পাওয়াদের ছাড়া সবার রুম কোয়ারেন্টিনের মেয়াদ তিন দিন থেকে বাড়িয়ে করা হয়েছে সাত দিনের।

‘বিমানবন্দরে নামার পরই আমাদের প্রত্যেকের হাতে ব্যান্ড পরিয়ে দেওয়া হয়েছে। আমরা তিনটি গ্রুপে ভাগ হয়ে আছি’, গতকাল টেলিফোনে জানাচ্ছিলেন বাংলাদেশ দলের টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ। তাঁর নিজের কবজিতে বেগুনি ব্যান্ড—নিউজিল্যান্ডের কঠোর করোনাবিধির কঠিনতম চিহ্ন এটা। ‘আমার আর (ওটিস) গিবসনের সামান্য কাশি আছে। তাই আমাদের পার্পল ব্যান্ড পরানো হয়েছে’, কড়া বিধি-নিষেধের মধ্যেই আছেন মাহমুদ, ‘আমাদের সবাইকেই রুম থেকে একবার খোলা জায়গায় যেতে দেওয়া হয়। তবে ব্যান্ডের রং অনুযায়ী গ্রুপে গ্রুপে। এর মধ্যে আমার আর ওটিসেরটা একটু ভিন্ন। সিকিউরিটির লোকজন আসার পর বের হই। বলা আছে, যেন কোথাও স্পর্শ না করি।’

বেগুনির পাশাপাশি আরো দুটি আলাদা গ্রুপ আছে—হলুদ এবং নীল ব্যান্ড। হলুদ ব্যান্ড দ্বিতীয় স্তরের সতর্কতার চিহ্ন বলে জানিয়েছেন খালেদ মাহমুদ, ‘সহযাত্রী একজন কভিড পজিটিভ পাওয়ার পর ওই যাত্রীর সংস্পর্শে এসে থাকতে পারে, এমন সবাইকে হলুদ ব্যান্ড পরিয়ে নজরে রাখা হয়েছে।’ নিউজিল্যান্ডের কভিড প্রটোকলে সবচেয়ে নিরাপদ ব্লু ব্যান্ড। এই গ্রুপে যে ক্রিকেটাররা আছেন, তাঁরা এক অর্থে মুক্ত। আগামীকালের পূর্বনির্ধারিত প্র্যাকটিস সেশনে যোগ দিতে পারবেন।

কিন্তু সেটি আর হচ্ছে না বলেই জানিয়েছেন মাহমুদ, ‘নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট থেকে বলেছে যে বৃষ্টির কারণে উইকেট তৈরি করতে পারেনি। তাই এক দিন পর (পরশু) প্র্যাকটিস শুরু হবে। তবে কাল (আজ) থেকে জিম করা যাবে আলাদা আলাদা গ্রুপে।’ অবশ্য পরশুর প্রথম প্র্যাকটিস সেশনে নামার সুযোগ পাবেন শুধু ব্লু ব্যান্ডধারীরা। পার্পল আর ইয়েলো ব্যান্ড নিয়ে জনসমাগমে যাওয়ার নিয়ম নেই নিউজিল্যান্ডে। তবে মাহমুদ আশাবাদী, ‘সবার দুইবার করে টেস্ট হয়েছে। প্রতিবারই নেগেটিভ এসেছে। আশা করছি, ব্লু ব্যান্ড পেয়ে যাবে সবাই।’

এদিকে রুমবন্দি জীবনে পালা করে বাইরের মুক্ত হাওয়া মিলছে। স্বাগতিক ক্রিকেট বোর্ডের আতিথ্য নিয়েও সন্তুষ্ট বাংলাদেশ দলের টিম ডিরেক্টর, ‘এখানকার ব্যবস্থা নিয়ে অভিযোগ করার কিছু নেই। রুমে একটা সাইকেল আছে। একটা মোবাইল অ্যাপ আছে, সেখানে খাবার অর্ডার করলে ওরাই দিয়ে যায়। খুবই সিস্টেমেটিক।’

LEAVE A REPLY