পরমাণু কেন্দ্রে নজরদারি সংস্থাকে ক্যামেরা বসানোর অনুমতি ইরানের

পরমাণু সমঝোতার সঙ্গে সাংঘর্ষিক সব নিষেধাজ্ঞা অবিলম্বে প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে ইরান। এদিকে দেশটি তাদের ‘কারাজ’ পরমাণু কেন্দ্রে পুনরায় ক্যামেরা বসানোর অনুমতি দিচ্ছে আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি এজন্সিকে (আইএইএ)। চলতি বছরের জুনে ওই পরমাণু কেন্দ্রে আইএইএ’র বসানো ক্যামেরাগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয় এক হামলার ঘটনায়।

বুধবার ইরানের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘ভুল বোঝাবুঝি’ দূর করতে আন্তর্জাতিক পরমাণু নজরদারি সংস্থাকে তারা স্বেচ্ছায় পরমাণু কেন্দ্রে ক্যামেরা বসাতে দিতে সম্মত হয়েছেন। ইরান আরও জানিয়েছে, ওই হামলার নিরাপত্তা এবং বিচারিক তদন্ত শেষ করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি এজেন্সি সম্প্রতি হামলার নিন্দা জানাতে রাজি হয়েছেন। এই হামলার জন্য ইসরাইলকে দায়ী করে ইরান। এদিকে ইরানের উপ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও ভিয়েনা সংলাপে ইরানের প্রধান পরমাণু আলোচক আলী বাকেরি-কানি এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ভিয়েনা সংলাপে আমাদের প্রধান দাবি হচ্ছে, বিগত বছরগুলোতে অবৈধভাবে যেসব নিপীড়নমূলক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে তার সবগুলো প্রত্যাহার করা।ইরানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ সকল আন্তর্জাতিক আইন এবং পরমাণু সমঝোতা পরিপন্থী।

ইরানের উপ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মতে, ইরানের পাশাপাশি পাঁচ জাতিগোষ্ঠী এবং আমেরিকার নয়া প্রশাসন এ কথা একবাক্যে স্বীকার করছে যে, সাবেক মার্কিন প্রশাসন ইরানের পরমাণু সমঝোতা থেকে বেরিয়ে গিয়ে বেআইনি কাজ করেছে। এ কারণে নয়া মার্কিন প্রশাসন সে ভুল সংশোধন করতে চায়।
ইরানের প্রধান পরমাণু আলোচক বলেন, বিভিন্ন বিষয়ে পাশ্চাত্যের সঙ্গে মত পার্থক্য নিরসনের লক্ষ্যে ভিয়েনায় আলোচনা চলছে এবং গত কয়েকদিনে মতপার্থক্য দূর করার ক্ষেত্রে বেশ কিছু অগ্রগতি অর্জিত হয়েছে। ইহুদিবাদী ইসরাইল ভিয়েনা সংলাপকে বানচাল করে দেয়ার লক্ষ্যে ব্যাপক প্রচেষ্টা চালাচ্ছে বলেও জানান বাকের-কানি।

LEAVE A REPLY