হিংস্র ‘বড় বিড়াল’টিকে ধরতে কুমকি হাতির টোপ

দুই সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে ভয় ও আতঙ্কের মধ্যে বাস করছে কেরালার মনন্তবাদি অঞ্চলের মানুষ। আর এর কারণ একটি বড় বিড়াল, অর্থাৎ বাঘ। হিংস্র জন্তুটি এখন পর্যন্ত ১৫টি প্রাণীকে হত্যা করেছে এবং মনে হচ্ছে- আপাতত এ হত্যাযজ্ঞ বন্ধ করার কোনো পরিকল্পনা তার নেই।

প্রতিবেদন অনুসারে, প্রাণীটি ১৭ দিন ধরে ওয়ানাদ জেলার মনন্তবাদি অঞ্চলে রয়েছে। বন কর্মকর্তারা বাঘটিকে ধরার জন্য নানাবিধ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন। কর্মকর্তারা টোপ হিসাবে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কুমকি হাতি ব্যবহার করছে। এদিকে, পৌরসভার কয়েকটি এলাকায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।

স্থানীয়রা এটি সম্পর্কে জানতে পেরে এবং তাদের জীবন ও নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার পর বন কর্মকর্তারা ‘বড় বিড়াল’টিকে ধরার জন্য নানা পরিকল্পনা নিয়েছে। বাঘের পথ আটকানোর পরিকল্পনাও চলছে। এই অঞ্চলে ১৫০ জনেরও বেশি বন কর্মকর্তা এবং পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বন কর্তৃপক্ষ বাঘটিকে শনাক্ত করার জন্য ড্রোন ব্যবহার করারও চিস্তা করছে। কিন্তু এ অঞ্চলের লম্বা গাছ এবং কফি গাছ ড্রোন অপারেশনে বাধা সৃষ্টি করেছে।

এ ছাড়াও দুই বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) এলাকায় ক্যাম্প করেছেন। তারা শিগগিরই এই হিংস্র প্রাণীটিকে খুঁজে পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী।

প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়া (পিটিআই) জানাচ্ছে, এখন পর্যন্ত বাঘ শুধুমাত্র গৃহপালিত পশুদের হত্যা করেছে। যার মধ্যে রয়েছে ছাগল, গরু, হাঁস-মুরগি এবং অন্য কিছু প্রাণী। মনন্তবাদি গ্রামের একজন স্থানীয় বাসিন্দা পিটিআইকে বলেন, লোকেরা তাদের ঘর থেকে বের হতে ভয় পায়। বিশেষ করে রাতে। তার ছাগলও বাঘের হাতে মারা পড়েছে বলে জানান তিনি।
সূত্র : ফার্স্টপোস্ট

LEAVE A REPLY