চীনের কুনমিংয়ে বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল যথাযোগ্য মর্যাদায় এবং উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে মহান বিজয় দিবস ২০২১ উদযাপন করেছে।
বৃহস্পতিবার (১৬ ডিসেম্বর) জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে শুরু হয় বিজয় দিবসের আনুষ্ঠানিকতা।
অনুষ্ঠানসূচির মধ্যে ছিল- আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ, আলোচনা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের ওপর তথ্যচিত্র প্রদর্শন।
অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপ্রতি মো. আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন এবং পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলমের বাণী পাঠ করা হয়।
আলোচনা অনুষ্ঠানে কনসাল জেনারেল এ এফ এম আমিনুল ইসলাম বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দ্বারা দেশের প্রতিটি খাতে অভাবনীয় অগ্রগতি অর্জিত হয়েছে। কৃষি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, যোগাযোগ, তথ্য-প্রযুক্তি, শিল্প ব্যবসা-বাণিজ্যসহ আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের প্রতিটি ক্ষেত্রে বাংলাদেশ এখন বিশ্বের বুকে ‘রোল মডেল’।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশকে ‘স্বল্পোন্নত’ দেশে উন্নীত করেন এবং তাঁর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর দক্ষ নেতৃত্বে মাতৃভূমিকে ‘উন্নয়নশীল’ দেশের কাতারে নিয়ে গেছেন। তিনি দেশের এ উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় প্রবাসী বাংলাদেশিদের অংশগ্রহণ ও সহযোগিতার আহবান জানান।
বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালন উপলক্ষে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজা হতে পরিচালিত ও সম্প্রচারিত ‘মহাবিজয়ের মহানায়ক’ অনুষ্ঠানের সঙ্গে মিশন সংযুক্ত হয় এবং মিশন কর্তৃক আয়োজিত আলোচনা সভায় উপস্থিত সকলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক পরিচালিত শপথ অনুষ্ঠানের শপথ বাক্য পাঠ করেন।
এ সময় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং ১৯৭১ এর শহীদদের রুহের মাগফেরাত কামনা, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের সুস্বাস্থ্য এবং দেশ ও জনগণের সুখ শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ দোয়া করা হয়।
