ভারতে নারীর বিয়ের ন্যূনতম বয়স ২১ বছর করার প্রস্তাব পাস

নারীর বিয়ের ন্যূনতম বয়স ১৮ বছর থেকে ২১ বছর করার প্রস্তাব পাস করেছে ভারতের কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভায়। গত বুধবার (১৫ ডিসেম্বর) এ প্রস্তাব পাসের মাধ্যমে নারী ও পুরুষ উভয়ের জন্যই বিয়ের সমান বয়স সমান করতে চলেছে দেশটির সরকার।

এদিকে নারীদের বিয়ের বয়স বাড়ানোর বিষয়ে গত কয়েক বছর ধরে চলা বিতর্ক এখন আবারও শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে প্রস্তাব পাসের সমালোচনা করেছে অল ইন্ডিয়া মজলিসে ইত্তেহাদুল মুসলিমিন (এআইএমআইএম)-এর প্রধান আসাদুদ্দিন ওয়াইসি ও সমাজবাদী পার্টিসহ আরো অনেক দল। 

অবশ্য মন্ত্রীসভার এ অনুমোদনে বিরোধীতাকারীদের ‘তালেবানি মানসিকতা’র বলে জানিয়েছেন ভারতের কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রী মুখতার আব্বাস নকভি। নারীর স্বাধীনতা, মর্যাদা ক্ষমতায়ন ও সাংবিধানিক সাম্যের বিরোধীতাকারীদের কোনো কিছু গ্রহণ করা হবে না বলে জানিয়েছেন তিনি। 

মূলত বাল্যবিয়েকে বেআইনি হিসেবে চিহ্নিত করা ও অপ্রাপ্তবয়স্কদের নির্যাতন রোধ করতে বিয়ের ন্যূনতম বয়স নির্ধারণ করা হয়েছে। ১৯৭৪ সাল থেকে ভারতে নারীর বিয়ের বয়স ১৮ বছর এবং পুরুষের বিয়ের বয়স ২১ বছর ছিল। 

এর আগে গত বছর স্বাধীনতা দিবসে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জানিয়েছিলেন, মেয়েদের বিয়ের ন্যূনতম বয়স বাড়িয়ে ২১ করা হবে। এরপর গত বছর জুন মাসে বিয়ের বয়স বাড়ানো যায় কিনা তা নিয়ে জরিপ করতে রাজনীতিবিদ জয়া জেটলিসহ ১০ সদস্যের একটি টাস্কফোর্স গঠন করা হয়। চলতি মাসে প্রতিবেদন জমা দেয় সেই টাস্কফোর্স। এতে বয়স বাড়ানোর পক্ষেই মত দিয়েছে তারা। তারপরেই মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত অনুমোদন পায়।

ভারতের টাস্ক ফোর্স জানায়, প্রথম গর্ভধারণের সময় একজন নারীর বয়স কমপক্ষে ২১ বছর হতে হবে। বিয়ের বয়সের নিম্নসীমা পরিবার, সমাজ এবং শিশুদের ওপর একটি ইতিবাচক আর্থিক, সামাজিক এবং স্বাস্থ্যের প্রভাব ফেলবে বলে সমর্থকরা জানান।

নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ভারতের মন্ত্রিসভায় প্রস্তাব পাসের পর এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে শিশু বিবাহ আইন, বিশেষ বিবাহ আইন ও হিন্দু বিবাহ আইনে সংশোধন আনবে ভারত সরকার। ভারতীয় সংসদে সেটি পাস হলেই চালু হবে নতুন ব্যবস্থা।  

সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া

LEAVE A REPLY