দেশের ইতিহাসে প্রথম হুইলচেয়ারে বসে সংবাদ পাঠ করলেন আজিজ

বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো হুইলচেয়ারে বসে সংবাদ পাঠ করলেন শারীরিক প্রতিবন্ধী হেদায়তুল আজিজ মুন্না। বিজয়ের সুবর্ণ জয়ন্তীতে এস এ টিভির মূল ভবনে নিউজ আপডেট পড়েন তিনি। প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের মূলস্রোতে যুক্ত করতেই এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে টেলিভিশন কর্তৃপক্ষ। 

দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো টেলিভিশন পর্দায় সংবাদ পাঠ করতে পেরে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন শারীরিক প্রতিবন্ধী হেদায়তুল আজিজ মুন্না। সকালে সংবাদ পাঠ শেষে উচ্ছ্বসিত  কণ্ঠে মুন্না বলেন, ‘এসএটিভি পরিবারকে স্যালুট জানাই। তারা এ ধরনের একটি উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। ভবিষ্যতেও প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদেরকে সম্পৃক্ত করে এসএটিভি আরো ভালো ভালো উদ্যোগ গ্রহণ করবে এটা আমি আশা করি।’ 

ব্যতিক্রমী আয়োজনটির বিষয়ে এসএটিভির ব্যবস্থাপনা পরিচালক সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, শারীরিক প্রতিবন্ধীদেরকে যেন কেউ অবহেলার চোখে না দেখে, তারা যেন সমাজে ভূমিকা রাখতে পারে এবং অন্যদের কাছে অনুকরণীয় হয়ে থাকে এমন সব বিষয় মাথায় রেখে আমরা গণমাধ্যমে প্রথমবারের মতো এমন উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। তাদেরকে (প্রতিবন্ধীদের) নিয়ে ভবিষ্যতেও আমাদের আরো পরিকল্পনা আছে। এসএটিভির বিভিন্ন প্রগ্রামসহ ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে প্রতিবন্ধীদের কর্মসংস্থান প্রদান করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

এদিকে, শুধু কথায় সীমাবদ্ধ না থেকে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের মূলস্রোতে যুক্ত করতেই এসএটিভির পর্দায় এই সাহসী উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন এসএটিভির নির্বাহী পরিচালক রাশেদ কাঞ্চন। এ ব্যাপারে তিনি বলেন, স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তিতে প্রধানমন্ত্রীর প্রতি, প্রধানমন্ত্রীর কন্যার ইচ্ছার প্রতি এবং সত্যিকার অর্থে বাংলাদেশের স্বাধীনতাকামী মানুষদের প্রতি সম্মান জানিয়ে এসএটিভি আজ বাংলাদেশে প্রথম হুইলচেয়ার নিউজ অ্যাঙ্কার পরিবেশন (ইন্ট্রোডিউস) করবে। একাবিংশ শতাব্দীর বাংলাদেশের নতুন প্রজন্ম- তারা বিশ্বমানের, তাদের চিন্তাধারা বিশ্বমানের। সুতরাং এসএটিভির এই উদ্যোগ ইতিহাস হবে বলে আমি ব্যক্তিগতভাবে আস্থা রাখতে চাই। 

এ ব্যাপারে এসএটিভির বার্তাপ্রধান জাহিদুর রহমান খান বলেন, প্রতিবন্ধীদের প্রতি সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করতে ও তাদের সঠিক মূল্যায়ন নিশ্চিত করতে এসএটিভির এই উদ্যোগ। আমরা মনে করি, প্রতিবন্ধীরা সমাজের বোঝা নয়; বরং শুধু সুযোগ প্রদানের মাধ্যমেই তাদেরকে জনশক্তিকে পরিণত করা সম্ভব। এসএটিভির এমন উদ্যোগের ফলে বাংলাদেশের অন্য প্রতিষ্ঠানগুলোও প্রতিবন্ধীদের পাশে এগিয়ে আসবে- এটাই আমাদের প্রত্যাশা।

LEAVE A REPLY