কলকাতা পুর নির্বাচনে দাপট বাড়ছে তৃণমূলের

শাসকের বিপুল জয় নিয়ে সংশয় নেই কোনো শিবিরেরই। প্রশ্ন শুধু প্রাপ্তির সংখ্যা নিয়ে। কলকাতা পুরভোটে গতবার ১৪৪টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১১৪টিতে জিতেছিল তৃণমূল। এবার কত হবে? মঙ্গলবারের ভোট গণনার আগে শাসক শিবিরের দাবি, ১৩৪-এর কম নয়।

তাৎপর্যপূর্ণভাবে রাজ্যের বিজেপি, বাম এবং কংগ্রেস নেতাদের বড় অংশও একান্তে স্বীকার করে নিচ্ছেন শাসকের নজিরবিহীন জয়ের সম্ভাবনার কথা। 

রবিবার ভোটগ্রহণ পর্বের ‘চিত্র’ দেখে তাঁদের অনেকেই বলছেন, বিরোধীরা দুই অঙ্ক ছুঁতে পারলে সেটাই হবে ‘যথেষ্ট’। ২০১৫ সালে বামেরা ১৫, বিজেপি সাত, কংগ্রেস পাঁচ এবং অন্যরা তিনটি ওয়ার্ডে জিতেছিল। বিরোধীদের আশা, এবার তাঁরা ১০ পার হবেন।

এবিপি আনন্দ-সি ভোটারের বুথ ফেরত সমীক্ষা পূর্বাভাস দিয়েছে, কলকাতার ১৪৪টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১৩১টিতে জয়ী হয়ে পুরসভার ক্ষমতায় ফিরতে পারে তৃণমূল। বাকি ১৩টি পেতে পারে বিজেপি। ওই সমীক্ষা অনুযায়ী তৃণমূল পেতে পারে ৫৮ শতাংশ ভোট। বিজেপি ২৮ শতাংশ। বামেরা ৫ শতাংশ এবং কংগ্রেস ৭ শতাংশ ভোট পেতে পারে। নির্দল এবং‌ অন্যরা পেতে পারে ২ শতাংশ ভোট।

আনন্দবাজার পত্রিকা বলছে, এখন পর্যন্ত ১৩২টিতে এগিয়ে আছে তৃণমূল। অন্যদিকে বিজেপি পাঁচটিতে, বামফ্রন্ট দুটিতে, কংগ্রেস দুই এবং অন্যরা তিনটিতে এগিয়ে আছে।

কলকাতার ৮২ নম্বর ওয়ার্ড তৃণমূলের। ৮২ নম্বর ওয়ার্ড কলকাতার বিদায়ি মেয়র ফিরহাদ হাকিমের। আবারও ওয়ার্ডের মানুষেরা ডাকনামে খ্যাত ‘ববি’র ওপর ভরসা রেখেছে।

জয়ের পর ফিরহাদ বলেছেন, এই জয় মমতা ব্যানার্জির জয়। মানুষ মমতাদির উন্নয়নের ওপর ভরসা রেখেছে। এই জয় মানুষের বিশ্বাসের জয়।

কিন্তু এই পুরভোটে ফিরহাদ আদৌ প্রার্থী হতে পারবেন কি না, তা নিয়েই একটা সময় পর্যন্ত অনিশ্চয়তা ছিল। মনে করা হয়েছিল, পুরভোটের প্রার্থী তালিকায় ‘এক ব্যক্তি, এক পদ’ নীতি মানতে পারে তৃণমূল। 

কিন্তু একেবারে শেষ মুহূর্তে দেখা যায়, কলকাতার ছয় বিধায়ক এবং এক সাংসদকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। জানা যায়, দলনেত্রী মমতা ব্যানার্জির সক্রিয় হস্তক্ষেপেই ওই বিধায়ক-সাংসদদের ফের প্রার্থী করা হয়। পুরভোটে লড়ার টিকিট পান তাঁরা।

LEAVE A REPLY