ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো ও লিওনেল মেসি
দীর্ঘ ২৮ বছর ধরে মহাদেশের সেরা হওয়ার প্রত্যাশাই ছিল ফুটবল পাগল আর্জেন্টিনা। মতান্তরে সর্বকালের সেরা ফুটবলার লিওনেল মেসিরও জাতীয় দলের হয়ে খেতাব জয়ের অপেক্ষা বহুদিনের। আর্জেন্টিনার হয়ে পরপর একাধিক ফাইনালে ব্যর্থতার পর এই বছরই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ব্রাজিলকে হারিয়ে কোপা আমেরিকার শিরোপা জেতে মেসির নেতৃত্বাধীন আর্জেন্টিনা। খবর হিন্দুস্তান টাইমস।
আর্জেন্টিনার মতো এত দীর্ঘ সময়ের অপেক্ষা না হলেও গত বিশ্বকাপে কোয়ালিফাই না করার পর ইতালিয়ান ফুটবলও তলানিতে ঠেকেছিল। তবে রবার্তো মানচিনির হাত ধরে আজুরিদের পুনরুত্থানের সাক্ষী থাকে ফুটবলবিশ্ব। ইউরোর খেতাব জয় তো বটেই নাগাড়ে আন্তর্জাতিক ম্যাচে অপরাজিত থাকার রেকর্ডও গড়ে মানচিনির কোচিংয়ে খেলা ইতালি।
তবে কোপা জয়ের আনন্দের প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই আকাশ ভেঙে পড়ে মেসির মাথায়। চিরজীবন বার্সেলোনার হয়ে খেলার পর হঠাৎ করেই নিজের ইচ্ছার বিরুদ্ধে প্রিয় ক্লাবকে আর্থিক কারণে অশ্রুজলে বিদায় জানাতে বাধ্য হন মেসি। বহু চর্চিত ট্রান্সফারে বার্সা ছেড়ে তিনি যোগ দেন ফরাসি ক্লাব প্যারিস সাঁ-জাঁতে।
মেসির পাশাপাশি এই গ্রীষ্মেই দলবদল করেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোও। বহুদিন ধরেই তার জুভেন্টাস ছাড়া নিয়ে জল্পনা শোনা যাচ্ছিল। সেই জল্পনা সত্যি করেই জুভেন্টাস তো ছাড়েনই, উপরন্তু একদম নাটকীয়ভাবে শেষ মুহূর্তে ম্যানচেস্টার সিটির বদলে পুরনো ক্লাব ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে ফেরেন ‘সিআর৭’।
বছরের শেষের দিকে খানিকটা বিতর্কিতভাবেই রবার্ট লেওয়ানডোস্কিকে হারিয়ে ব্যালন ডি’অর জিতে নেন লিওনেল মেসি। এটি তার সপ্তম ব্যালন ডি’অর খেতাব, যা তাকে বিশ্বমঞ্চে পুনরায় সর্বকালের সেরা হওয়ার দিকে অন্তত ব্যক্তিগত ট্রফির বিচারে আরও একধাপ এগিয়ে দেয়।