যাত্রীবাহী লঞ্চ ‘এমভি অভিযান-১০’ ট্র্যাজেডির প্রভাবমুক্ত তদন্ত দাবি

ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে যাত্রীবাহী ‘এমভি অভিযান-১০’ লঞ্চে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ও ব্যাপক হতাহতের ঘটনার সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও প্রভাবমুক্ত তদন্ত করে প্রকৃত অপরাধীদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে পরিবেশ ও নাগরিক অধিকার সংরক্ষণ বিষয়ক চারটি বেসরকারি সংগঠন। সংগঠনগুলো দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ উদঘাটনের স্বার্থে তদন্ত কমিটিতে গ্রহণযোগ্য বিশেষজ্ঞদের প্রাধান্য দেওয়ার পাশাপাশি বিতর্কিত কর্মকর্তাদের না রাখার দাবি জানিয়েছে।

আজ শুক্রবার এক যৌথ বিবৃতিতে এসব দাবি জানানো হয়। বিবৃতিদাতারা হলেন গ্রিন ক্লাব অব বাংলাদেশের (জিসিবি) কার্যকরী সভাপতি হাজি মোহাম্মদ শহীদ মিয়া, নৌ, সড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক আশীষ কুমার দে, উন্নয়ন ধারা ট্রাস্টের সদস্যসচিব আমিনুর রসুল বাবুল এবং সুন্দরবন ও উপকূল সুরক্ষা আন্দোলনের সমন্বয়ক নিখিল ভদ্র।

দুর্ঘটনাকবলিত লঞ্চের বেঁচে যাওয়া যাত্রীদের বরাত দিয়ে যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, লঞ্চটির ইঞ্জিনরুম থেকে আগুনের সূত্রপাত। এতে ধারণা করা যায়, নৌযানটির ইঞ্জিন ছিল ত্রুটিপূর্ণ এবং ইঞ্জিনরুমের অগ্নিনিরাপত্তা ব্যবস্থা দুর্বল ছিল। অর্থাৎ যাত্রীবাহী নৌযানটির বার্ষিক ফিটনেস পরীক্ষার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা চরম দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিয়েছেন। যে কারণে এতগুলো অমূল্য প্রাণ অকালে ঝরে গেছে।  

বিবৃতিতে আরো বলা হয়, নৌ নিরাপত্তা নিশ্চিতসহ অভ্যন্তরীণ নৌ খাতকে আধুনিকায়নের ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তথা বর্তমান সরকারের যথেষ্ট সদিচ্ছা ও চেষ্টা থাকা সত্ত্বেও গত ১৩ বছরে একটি জনবান্ধব নৌ যোগাযোগব্যবস্থা গড়ে ওঠেনি। বিভিন্ন সময়ে সংঘটিত দুর্ঘটনাগুলোর যথাযথ তদন্ত না হওয়া, তদন্ত প্রতিবেদন জনসমক্ষে প্রকাশ না করে অপরাধীদের আড়াল করে রাখা এবং তাদেরকে কঠোর শাস্তির আওতায় না আনার কারণেই দুর্ঘটনার ঝুঁকিমুক্ত নৌ খাত প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে না।   

বিবৃতিতে ‘অভিযান-১০’সহ সাম্প্রতিককালে সংঘটিত সকল নৌ দুর্ঘটনার তদন্ত প্রতিবেদন নৌ মন্ত্রণালয়, নৌপরিবহন অধিদপ্তর ও বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডাব্লিউটিএ) ওয়েবসাইটে প্রকাশ এবং দায়ীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিতের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে। 

LEAVE A REPLY