ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে যাত্রীবাহী লঞ্চ অভিযান-১০-এ অগ্নিকাণ্ড এবং ৩৯ জনের মৃতদেহ উদ্ধারসহ অসংখ্য মানুষ নিখোঁজের ঘটনায় ঝালকাঠি থানায় শুক্রবার রাতে একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে।
আজ শনিবার দুপুরে দুর্ঘটনাস্থল সদর উপজেলার পোনাবালিয়া ইউনিয়নের দিয়াকুল এলাকার গ্রাম পুলিশ (চৌকিদার) মো. জাহাঙ্গীর হোসেন মামলাটি দায়ের করেন।
ঝালকাঠি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খলিলুর রহমান জানান, মামলাটি তদন্তের জন্য ঝালকাঠি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. নজরুল ইসলামকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে পুলিশের এই কর্মকর্তা তদন্তকাজ শুরু করেছেন।
তদন্তদল ঝালকাঠিতে :
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব তোফায়েল হাসানের নেতৃত্বে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সাত সদস্যের তদন্তদল সকাল সাড়ে ১০টায় ঝালকাঠির লঞ্চঘাট এলায় এসে আগুনে পুড়ে যাওয়া লঞ্চটি পরিদর্শন করেন। লঞ্চের ইঞ্জিন রুমসহ বিভিন্ন কক্ষে ঢুকে তদন্ত করছেন তাঁরা। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন সাবেক নৌপরিবহনমন্ত্রী মো. শাজাহান খান।
এ সময় তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে তিনটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি রিপোর্ট দিলে আমরা জানতে পারব দুর্ঘটনার আসল কারণ। যারা এর জন্য দায়ী তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এটা দুর্ঘটনা নাকি অন্য কিছু সে ব্যাপারেও খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে।’
ঝালকাঠি ফায়ার সার্ভিসের উপপরিচালক মো. কামাল উদ্দিন ভূইয়া বলেন, ‘ইঞ্জিন কক্ষ থেকেই আগুন লাগে। আমরা যেভাবে অক্সিজেন গ্রহণ করে কার্বন ডাই-অক্সাইড ছেড়ে দিই, লঞ্চেও একটি ইঞ্জিন রয়েছে যেটি বাইরে ধোঁয়া ছড়িয়ে দেয়। কিন্তু এটা যখন আটকে পড়ে, তখন বিস্ফোরণ হয়। আমাদের প্রাথমিক ধারণা, ইঞ্জিন কক্ষ থেকেই আগুন লেগেছে।’