ইউরোপিয়ান ফুটবলসহ সারাবিশ্বেই বর্ণবাদীদের আক্রমণের শিকার হন খেলোয়াড়েরা। আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর কঠোর অবস্থানের কারণে মাঠে সেভাবে বর্ণবিদ্বেষ দেখাতে পারেন না ওইসব ব্যক্তিবর্গ; তাই তারা হামলে পড়েন অনলাইনে। বিভিন্ন ফুটবলারদের সোশ্যাল অ্যাকাউন্টে গিয়ে বর্ণবাদী আক্রমণ করেন। এ নিয়ে ফুটবলাররা নিয়মিতভাবেই অভিযোগ করে আসছেন। অনেকে সোশ্যাল সাইট ব্যবহারও ছেড়ে দিয়েছেন।
২০২০ ইউরো ফাইনালে ইংল্যান্ডের হারের পর দলটির কৃষ্ণাঙ্গ ফুটবলারদের ওপর অনলাইনে হামলে পড়েছিল বর্ণবাদীরা। তখনই এইসব নোংরা মানসিকতার ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা দেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। সেই ধারাবাহিকতায় এলো নতুন আইন। এই আইন অনুযায়ী অনলাইনে বর্ণবাদী আক্রমণকারীদের সর্বনিম্ম ৩ এবং সর্বোচ্চ ১০ বছরের জন্য যে কোনো ম্যাচ দেখতে স্টেডিয়ামে প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হবে। খোলোয়াড়দের বিরুদ্ধে হিংসা ও বিকৃতি ঠেকাতেই এই উদ্যোগ।
ব্রিটেনের স্বরাষ্ট্রসচিব প্রীতি প্যাটেল ব্রিটিশ মিডিয়াকে বলেছেন, ‘এই গ্রীষ্মে আমরা দেখেছি কীভাবে নান্দনিক ম্যাচগুলো বিকারগ্রস্ত বর্ণবাদীদের অনলাইন ট্রোলিংয়ের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এসব ব্যক্তিবর্গ তাদের কি-বোর্ডের আড়ালে লুকিয়ে আমাদের ফুটবলারদের গালাগালি করেছে। অনলাইনে এসব বর্ণবাদী আক্রমণের অবশ্যই শাস্তি হওয়া উচিত। আইন পরিবর্তনের পর আমি নিশ্চিতভাবে ঘোষণা করছি যে, ওইসব ব্যক্তিবর্গকে এখন থেকে ফুটবল ম্যাচে নিষিদ্ধ করা হবে।’