আগামী কয়েক মাসের মধ্যে ভেঙে পড়তে পারে বিশ্ব পরাশক্তি আমেরিকার অর্থনীতি- এমন সতর্কতা উচ্চারণ করেছেন দেশটির একটির বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক।
ব্রাউন ইউনিভার্সিটির স্কুল অব পাবলিক হেলথের ইমার্জেন্সি মেডিসিনের অধ্যাপক মেগান রানি বলেছেন, “প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট ‘ওমিক্রন’ আমেরিকার সর্বত্র ছড়িয়ে পড়েছে। পরিস্থিতি এমন যে, আগামী কয়েক মাসের মধ্যে আমাদের অর্থনীতি ভেঙে পড়তে পারে বলে মনে হচ্ছে। তবে এটি ফেডারেল সরকার বা রাজ্য সরকারের নীতিগুলোর কারণে নয়, বরং অনেকের অসুস্থতার কারণেই অর্থনীতি ভেঙে পড়তে পারে।”জানা গেছে, আমেরিকায় উল্লেখযোগ্য হারে বাড়ছে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা। এতে দেশজুড়ে বাড়ছে উদ্বেগ। এ কারণেই ইতোমধ্যে দেশটির বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন, যেভাবে ওমিক্রন বাড়ছে তাতে ২০২২ সালের গোড়া থেকেই আমেরিকাবাসীর দৈনন্দিন জীবনে আমূল পরিবর্তন ঘটে যেতে পারে।
জন্স হপকিন্স ইউনিভার্সিটির সর্বশেষ তথ্যানুসারে, এই সপ্তাহে সাত দিনের গড়ে নতুন রেকর্ড গড়েছে আমেরিকা। দেশটিতে গত শুক্রবার ৩,৮৬,০০০ জনেরও বেশি মানুষ কোভিডে আক্রান্ত হয়েছে।
নিউইয়র্ক সিটিতে মেট্রোপলিটন ট্রান্সপোর্টেশন অথরিটি (এমটিএ) কর্মীরা সমস্যায় জর্জরিত। তারা ঘোষণা করেছেন, বিভিন্ন লাইনের মেট্রো রেল সেবা বন্ধ করা হয়েছে।
শনিবার নিউইয়র্কের গভর্নর ক্যাথি হোচুলে জানান, সেখানে একদিনে ৮৫,৪৭৬ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছে। নিউ ইয়র্কে সাত দিনের আক্রান্তের হার ১৯.৭৯ শতাংশ।
সংক্রমণ উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধির পর স্বাস্থ্যসেবা সেবাগুলোও বিপর্যস্ত। ইউনিভার্সিটি অব মেরিল্যান্ড ক্যাপিটাল কোভিড সেবার স্বাস্থ্যকর্মীদের ঘাটতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। তারা শুক্রবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, “বর্তমান চাহিদার তুলনায় স্বাস্থ্যকর্মীদের সংখ্যা কম।”
করোনাভাইরাস ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাওয়ার পরই বিশেষজ্ঞরা পুনরায় স্কুল খোলার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই উচ্চ সংক্রমণের কারণে পরবর্তী সপ্তাহগুলোতে স্কুলগুলো খুলে রাখা কঠিন হতে চলেছে। বিশেষ করে স্কুল শিক্ষক, বাস ড্রাইভার, ক্যান্টিন কর্মীরা করোনা আক্রান্ত হলে শিক্ষার্থীদেরও আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ম্যাসাচুসেটস টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন এই সপ্তাহে রাজ্য শিক্ষা কমিশনারকে স্কুলগুলো বন্ধ রাখার আবেদন জানিয়েছে। সূত্র: সিএনএন