ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে নতুন বছর শুরু করল উত্তর কোরিয়া

নতুন বছরের শুরুতে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে উত্তর কোরিয়া। দেশটির পূর্ব উপকূল থেকে বুধবার এই ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয় বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। দেশটির সামরিক সক্ষমতাকে শক্তিশালী করার জন্য বছরের প্রথমেই এই ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে দেশটি।

ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের বিষয়টি প্রথম জানায় জাপানের কোস্টগার্ড। তারা জানায়, এটি ব্যালিস্টিক মিসাইল হতে পারে, তবে এর বেশি কোনো তথ্য জানা যায়নি।  জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা বলেন, ‘গত বছর থেকে উত্তর কোরিয়া বারবার ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে, যা খুবই দুঃখজনক।’

দক্ষিণ কোরিয়ার জয়েন্ট চিফ অব স্টাফ বলেন, উত্তর কোরিয়া পূর্ব উপকূল থেকে সমুদ্রের দিকে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। তিনি এক বিবৃতিতে বলেন, আমাদের সামরিক বাহিনী অতিরিক্ত উৎক্ষেপণের জন্য প্রস্তুতি রাখছে এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতায় পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে।

জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ উত্তর কোরিয়ার সব ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা নিষিদ্ধ করেছে এবং কর্মসূচির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।

নতুন বছরের আগে কিমের দেওয়া বক্তৃতার সারসংক্ষেপে দেখা যায়, উত্তর কোরিয়ার নেতা বিশেষভাবে ক্ষেপণাস্ত্র বা পারমাণবিক অস্ত্রের কথা উল্লেখ করেননি, তবে জাতীয় প্রতিরক্ষাকে শক্তিশালী করার বিষয়ে তিনি তাগিদ দিয়েছিলেন।

উত্তর কোরিয়া তার পারমাণবিক অস্ত্র কর্মসূচির জন্য আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার অধীনে রয়েছে, তবে করোনা মহামারি শুরুর পর থেকে  সীমান্তে লকডাউন আরোপ করেছে, যা বাণিজ্যকে ধীরগতির করে দিয়েছে। আইসিবিএম বা পারমাণবিক বোমার শেষ পরীক্ষা ছিল ২০১৭ সালে। দেশটি নতুন স্বল্পপাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে, যার মধ্যে অক্টোবরে একটি সাবমেরিন থেকে উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল।

ওয়াশিংটনের স্টিমসন সেন্টারে 38 নর্থের ডেপুটি ডিরেক্টর মিশেল কে বলেছেন, যদিও উত্তর কোরিয়ার সাম্প্রতিক পূর্ণাঙ্গ বৈঠকে আগামী বছরের জন্য গ্রামীণ উন্নয়নকে অগ্রাধিকার দেওয়া হতে পারে, তবে এর অর্থ এই নয় যে দেশটি তার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা বন্ধ করবে।’

LEAVE A REPLY