ভারতে করোনাভাইরাস সংক্রমণের নতুন ধরন ওমিক্রনের বিস্তার বেড়ে যাওয়ায় দিল্লিতে সপ্তাহিক ছুটির দিন কারফিউ জারি করা হয়েছে। দিল্লির রাজ্য সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী, শনিবার ও রবিবার নয়াদিল্লি ও তার আশপাশের এলাকায় কারফিউ চলবে।
ভারতের করোনা পরিস্থিতি দিন দিন ভয়াবহ রূপ ধারণ করছে। মঙ্গলবার করোনা শনাক্ত হয়েছে ৩৭ হাজার ৩৭৯ জন, যার এক-তৃতীয়াংশ দিল্লি ও মুম্বাইয়ে। এর আগে ভারতে করোনায় যে ভীতিকর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল, এবার তা আগেভাগে ঠেকাতেই কারফিউ দেওয়া হয়েছে।
দিল্লির উপ-মুখ্যমন্ত্রী মনিশ সিসোদিয়া বলেন, ‘দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ দুদিন কারফিউ জারির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। একই সঙ্গে জরুরি পরিষেবা ছাড়া সরকারি সব দপ্তরের কর্মীদেরকে বাড়িতে থেকে কাজ করার নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে। তবে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো ৫০ শতাংশ কর্মী নিয়ে কাজ চালাতে পারবে।’
দিল্লির উপ-মুখ্যমন্ত্রী আরো বলেন, সড়কে যাত্রীদের ভিড় সামাল দিতে বাস ও মেট্রোয় আসনসংখ্যা বাড়ানো হবে। কেউ মাস্ক ছাড়া বের হতে পারবে না।
ওমিক্রনের কারণে দিল্লিতে বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে জমায়েত নিষিদ্ধ ছিল। এর পরও প্রতিদিনই করোনা পজিটিভ হিসেবে শনাক্ত হয়েছে চার হাজারের বেশি মানুষ।
ভারতের ন্যাশনাল টেকনিক্যাল অ্যাডভাইজরি গ্রুপের (এনটিজিআই) প্রধান ডা. এন কে অরোরা ভারতের সংবাদমাধ্যম এনডিটিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, ওমিক্রনের প্রাদুর্ভাবে দিল্লি, মুম্বাই, কলকাতাসহ ভারতের বড় শহরগুলোতে লাগামহীনভাবে বাড়ছে দৈনিক আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। আক্রান্ত এই রোগীদের ৭৫ শতাংশই ওমিক্রনের শিকার।
ভারতে এক হাজার ৭ শর বেশি ওমিক্রন রোগী শনাক্ত করা হয়েছে, যার মধ্যে মুম্বাইয়ে আক্রান্তের সংখ্যা ৫৬৮ এবং দিল্লিতে ৩৮২।