কাজাখস্তানের এলপিজির দাম ভয়ংকরভাবে বাড়তে শুরু করলে শুরু হয় সহিংস প্রতিবাদ। এরই জের ধরে পদত্যাগ করেছে দেশটির সরকার। আর পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট কাসিম জোমার্ট তোকায়েভ। বুধবার প্রেসিডেন্টের তরফ থেকে এ বিষয়ে নিশ্চিত করা হয়েছে।
এলপিজির দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে প্রথমে দেশটির আলমাটি এবং তেলসমৃদ্ধ অঞ্চলে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ টিয়ার গ্যাস ছোড়ে এবং সেই সঙ্গে স্টান গ্রেনেড নিক্ষেপ করে।
রাষ্ট্রপতির ওয়েবসাইট থেকে জানানো হয়, প্রেসিডেন্ট কাসিম-জোমার্ট তোকায়েভ আলমাতি এবং অয়েল হাব বলে পরিচিত মেঙ্গিটাতে জরুরি অবস্থার আদেশে স্বাক্ষর করেছেন, যা ৫ থেকে ১৯ জানুয়ারি পর্যন্ত কার্যকর থাকবে বলে বলা হয়। রাত ১১টা থেকে সকাল ৭টা পর্যন্ত কারফিউ জারি থাকবে।
তবে শেষ পর্যন্ত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে ইস্তফা দেন প্রধানমন্ত্রী। প্রেসিডেন্ট এই ইস্তফা স্বীকার করে নিয়েছেন। তিনি স্মাইলভকে কার্যকরী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ করেছেন।
ডয়চে ভেলে জানিয়েছে, বিক্ষোভে হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় নামে। রাতেও বিক্ষোভকারীরা শহরের রাস্তায় ছিল। আলমাটিতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ও স্টান গ্রেনেড ছুড়েও বিক্ষোভ সামাল দিতে পারেনি। বিক্ষোভকারীরা সরকার ও সামরিক ভবনগুলোতে আক্রমণ করার ডাক দেয়। প্রেসিডেন্ট বলেছেন, এ ধরনের প্রতিবাদ অন্যায়। সরকারের সঙ্গে আলোচনায় বসা উচিত বিক্ষোভকারীদের।
উল্লেখ্য, কাজাখস্তানের অনেকেই এলপিজিতে গাড়ি চালান। সরকার এত দিন দাম নিয়ন্ত্রণ করে রেখেছিল বলে গ্যাসোলিনের থেকে এলপিজিতে গাড়ি চালানো সস্তা ছিল। সরকার সেই এলপিজির দাম বাড়ানোয় প্রবল বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। যার জেরে পতন হলো সরকারের।